২০২৩-১২-১৬ ০৬:১৭:২৫ / Print
নানা আয়োজনে সিলেট ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের মহান বিজয় দিবস পালন করা হয়েছে। শনিবার বিনম্র শ্রদ্ধা ও গভীর কৃতজ্ঞতায় দেশ মাতৃকার জন্য আত্মদানকারী শহীদদের স্মরণের মাধ্যমে স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ সিলেট ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয বাঙালি জাতির অসীম সাহস আর চির গৌরবের দিন ‘মহান বিজয় দিবস।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ লে. কর্নেল মো. রোকনুজ্জামান খান, পিএইচডি, এইসি; উপাধ্যক্ষ, শিক্ষকমন্ডলী, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীবৃন্দ। অনুষ্ঠান শুরুর পর রাষ্ট্রপতির বাণী, প্রধানমন্ত্রীর বাণী, সেনাবাহিনী প্রধানের বাণী পাঠ করে শোনান নির্বাচিত শিক্ষকমন্ডলী।
আলোচনা সভায় মহান বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে স্মৃতিচারণা অনুভূতি প্রকাশ করেন বিশেষ অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার আফতাব উদ্দিন তৌফিক (অবঃ)। এরপর শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে একক ও দলীয় সংগীত, নৃত্য, অভিনয় এবং আবৃত্তিতে বিজয়ের আনন্দ ফুটিয়ে তোলা হয়, যা উপস্থিত সকলকে মোহিত করে।
বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে রচনা, চিত্রাঙ্কন, খেলাধুলা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের এবং বার্ষিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার এবং ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। প্রধান অতিথির ভাষণে অধ্যক্ষ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বাঙালির মহাজাগরণের পথিকৃৎ, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা ও মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান আজীবন বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করেছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
তবেই আমরা স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পারব। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে হবে। ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতার মর্যাদা আমাদেরই রক্ষা করতে হবে। এর মাধ্যমেই সার্থক হবে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মত্যাগ আর অগণিত মানুষের ত্যাগ-তিতিক্ষা। এছাড়া মহান বিজয় দিবস পালনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও অর্জন প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে তুলে ধরলেই অর্থবহ হবে মহান বিজয় দিবসের সব আনুষ্ঠানিকতা।
তিনি আরো বললেন, এই স্বাধীনতা অর্জনের জন্য যারা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন, আজকের এই দিনে একাত্তরের সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।
যারা শহিদ হয়েছিলেন তাঁদের আত্মার প্রশান্তি কামনা করেন এবং যারা এখনো জীবিত আছেন তাঁদের দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা কামনা করেন এবং তিনি অনুষ্ঠান আয়োজনে নিয়োজিত সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠান শেষে মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।