২০২৩-০৬-১২ ১৫:৪৪:২৩ / Print
মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নতুন নীতিমালা অনুযায়ী মাছদের রোগ নির্ণয় ও প্রেস্ক্রিপশন প্রদানে ভেটেরিনারি এনিম্যাল ও বায়োমেডিক্যাল সাইন্স অনুষদের নিবন্ধিত গ্রেজুয়েটদের আইনি বৈধতা দেওয়া হয়েছে।
এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সারা বাংলাদেশের সকল কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ছাত্র-ছাত্রীরা। সোমবার (১২/০৬/২৩) সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ছাত্র সমিতির আয়োজনে একটি মানববন্ধন করা হয়।
এতে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। পাশাপাশি সেখানে মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন সহ বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের শিক্ষকমন্ডলীরাও উপস্থিত ছিলেন।
উক্ত মানববন্ধনে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের সকল ছাত্র ছাত্রীবৃন্দ নতুন এই নীতিমালার তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তারা অতিদ্রুত এই নীতিমালার সংশোধন করে মাছের রোগ নির্ণয় ও প্রেস্ক্রিপশন তৈরি ভেটেরিনারি গ্রেজুয়েটদের পরিবর্তে মাৎস্যবিজ্ঞান
গ্রেজুয়েটদের স্থলাভিষিক্ত করার পাশাপাশি ফিশারিজ কাউন্সিল তৈরির জোর দাবি জানান। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মৃত্যুঞ্জয় কুন্ড বলেন, "World Organisation of Animal Health, সংস্থা কর্তৃক আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত রয়েছে যে জলজ প্রাণিদের ভেটেরেনারি নিবন্ধিত গ্রেজুয়েট এবং একুয়াটিক এনিমেল হ্যালথ প্রফেশনাল উভয়ই রোগ নির্ণয় ও প্রেস্ক্রিপশন প্রদান করতে পারবেন।
অথচ মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নতুন নীতিমালা অনুযায়ী তারা একুয়াটিক এনিমেল হেলথ প্রফেশনালদের বাদ দিয়ে শুধু ভেটেরেনারি গ্রেজুয়েটদের মাছের চিকিৎসা করার ব্যাপারে নীতিমালা প্রনয়ন করেছেন।
আমরা সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের সকল শিক্ষক আমাদের শিক্ষার্থীদের এই যৌক্তিক আন্দোলনে একাত্বতা পোষণ করছি।"