২০২৩-০৩-১৭ ০৮:৩০:৪৬ / Print
সিলেট ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়েছে।
আজ ১৭ মার্চ শুক্রবার যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা, রচনা প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এবারের জাতীয় শিশু দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিলো "স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন।"
অনুষ্ঠানের শুরুতেই আলোচনা সভায় দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য প্রদান করেন নির্বাচিত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকমন্ডলী।
এরপর জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত শিশুর স্বাস্থ্য সচেতনতা, পুষ্টি ও খাদ্যের উপর আলোচনার আয়োজন করা হয়।
পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ প্রচার করা হয়।
শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় আবৃত্তি, গান ও নৃত্যের মাধ্যমে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
এরপর জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের এবং এইচএসসি-২০২২ বোর্ড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কৃতি শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার, ক্রেস্ট এবং মেডেল প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথির ভাষণে অধ্যক্ষ লে. কর্নেল মো.রোকনুজ্জামান খাঁন; এইসি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মার প্রতি সম্মান প্রদর্শন ও শান্তি কামনা করে মার্চ মাসের তাৎপর্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হৃদয় ছিলো নিষ্পাপ শিশুর মতো পবিত্র। তিনি শিশুদের অত্যন্ত ভালোবাসতেন।
ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন মানবদরদি। তিনি ছিলেন অধিকার আদায়ে আপসহীন। কৈশোর থেকেই তার মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি পরিলক্ষিত হয়।
বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা এবং বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা। এমন একজন মহান নেতার জন্মদিনকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালিত হওয়ায় বঙ্গবন্ধুর সাথে ভবিষ্যত প্রজন্মের এক নিবিড় সংযোগ স্থাপিত হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শুধু দেশে নয়, তিনি বিশ্বনেতা হিসেবেও সর্বজন স্বীকৃত। তিনি সকলকে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ অনুসরণ ও অনুকরণ করে এবং দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে সুনাগরিক হওয়ার আহবান জানান। নির্মান/অসীম কুমার সিনহা