২০২২-০৬-১৩ ২২:১৯:১৪ / Print
সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবছর মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ১ লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ পরিক্ষার্থী। অংশগ্রহণকারী পরিক্ষার্থীদের মধ্যে ছেলেদের তুলনায় মেয়ে সংখ্যা ১৭ হাজার ৪৬৫ জন বেশি।
তবে, গত বছরের চেয়ে এবার এ বোর্ডে পরিক্ষার্থী কমেছে ৪ হাজার ৪০৭ জন। সিলেট বোর্ডের অধীনে মাধ্যমিক সার্কিটিকেট পরিক্ষায় (এসএসসি) এবার ছেলে ৪৯ হাজার ৪১৮ এবং মেয়ে ৬৬ হাজার ৯৪৬ জন।
তন্মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পরিক্ষায় অংশ নিচ্ছেন ২৩ হাজার ৩০৩ জন, মানবিকে সর্বাধিক ৮৪ হাজার ২২৯ এবং ব্যবসায় ৮ হাজার ৮৯৫ পরিক্ষার্থী। সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুণ চন্দ্র পাল এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বোর্ডের অধীনে ৯৩০শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ১ লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন।
এরমধ্যে সিলেট জেলায় ৩৫৮ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হবিগঞ্জে ১৬৭টি, মৌলভীবাজারে ১৮৭ এবং সুনামগঞ্জে ২১৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। অংশগ্রহণকারী পরিক্ষার্থীরা ১৪৯টি কেন্দ্রে পরিক্ষা দেবেন।
তিনি বলেন, বোর্ডের অধীনে গত বছর পরিক্ষার্থী ছিল এক লাখ ২১ হাজার ১৩১ জন। এরমধ্যে ছাত্র ছিল ৫৩ হাজার ৯৪০ জন এবং ছাত্রী ৬৭ হাজার ১৯১ জন। অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীদের মধ্যে মেয়েদের সংখ্যা বেশি ছিল ১৩ হাজার ২৫১ জন। এবার সেই সংখ্যা বেড়ে ১৭ হাজার ৪৬৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ বছর কমে যাওয়া ৪ হাজার ৭০৪ জন পরিক্ষার্থীর মধ্যে ছেলে ৪ হাজার ৪৪৯ জন এবং মেয়ে ২৪৫ জন। মেয়েদের তুলনায় ছেলে পরিক্ষার্থী সংখ্যা ১৯ দশমিক ২ শতাংশ বেশি হ্রাস পেয়েছে। সিলেট শিক্ষা বোডের্ সচিব মো. কবির আহমদ বলেন, পরীক্ষা এবার ২ ঘন্টা করা হয়েছে।
এরমধ্যে ২০ মিনিট এমসিকিউ এবং ২০ মিনিট সিকিউ পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বোর্ড সূত্র জানায়, ২০২০ সালে এসএসসিতে পরীক্ষার্থী ছিল মোট ১ লাখ ১৬ হাজার ৩৭০ জন। তন্মধ্যে ছেলে ৪৯ হাজার ৯৫৩ জন এবং মেয়ে ছিল ৬৬ হাজার ৪১৭ জন। পরের বছর ২০২১ সালে করোনার অতিমারি কাটিয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছিল ৪ হাজার ৭৬১ জন।
এরমধ্যে ছাত্র সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৯৮৭ জন এবং ছাত্রী সংখ্যা ৭৭৪ জন। এবার এসএসসি পরীক্ষা শুরু ১৯ জুন, শেষ হবে আগামী ৬ জুলাই। সব পরীক্ষাই সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। সাধারণত বছরের ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি এবং এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা হয়।
কিন্তু করোনা সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের মার্চ থেকে দেশের শিক্ষাপঞ্জি এলোমেলো হয়ে গেছে। ঠিক সময়ে পরীক্ষা হচ্ছে না বা কখনো কখনো বাতিল করতে হচ্ছে। এ বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাও নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।