২০২৩-০৫-১৬ ১৩:১৪:১৬ / Print
সিলেটে মঙ্গলবার বিকেলে হঠাৎ করে কালবোশেখী তান্ডব চালিয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ঝড়ের সাথে শুরু হয় তুমুল বৃষ্টিপাত। অনেক জায়গায় গাছপালা ভেঙে পড়ে, টিনের চাল উড়ে যায়।
মাত্র আধাঘণ্টার ঝড় ও বৃষ্টিতে রাস্তায় পানি জমে যায়, নগরীর আখালিয়া, উপশহর, করেরপাড়াসহ কয়েকটি নিচু এলাকায় অনেক বাসাবাড়িতে পানি ওঠে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন অনেকে।
এদিন সিলেটে ৫৯ মিলিমিটিার বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। হঠাৎ কালবোশেখীর তান্ডবে দিকবিদিক ছোটে আশ্রয় নেন লোকজন। এসময় তীব্র বাতাসের ধাক্কায় সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের
নবনির্মিত ভবনের যাত্রীদের বসার স্থানের কক্ষের একটি দেওয়ালে লাগানো থাই গ্লাস ঝন ঝন করে ভেঙে পড়ে। গ্লাস ভেঙে পড়ছে দেখে এর নিচে থাকা তিনজন দৌঁড়ে প্রাণে রক্ষা পান। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার বিকাল ৩টা থেকে সিলেটে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়।
এর সঙ্গে শুরু হয় দমকা হাওয়া। বিকাল ৪টার দিকে বাতাসের ধাক্কায় সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের নবনির্মিত ভবনের যাত্রীদের বসার স্থানের কক্ষের একটি দেওয়ালে লাগানো থাই গ্লাস ঝন ঝন করে ভেঙে পড়ে। গ্লাস ভেঙে পড়ছে দেখে এর নিচে থাকা তিনজন দৌঁড়ে রক্ষা পান। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
টার্মিনালে অবস্থানরত পরিবহন নেতাদের অনেকেই জানিয়েছেন, প্রথম থেকেই বাতাস শুরু হলে টার্মিনাল ভবনে লাগানো সকল থাই গ্লাস কাঁপতে থাকে, যেন মনে হয় এইমাত্র সকল গ্লাস একসঙ্গে ভেঙে পড়বে।
তারা অভিযোগ করে বলেন, এসব গ্লাসে সম্ভবত নাট-বল্টু পর্যাপ্ত লাগানো হয়নি। আর গ্লাসগুলো কেমন আলগা করে লাগানো হয়েছে। ঝড়-তুফানের দিনে এসব গ্লাস ভেঙে পড়ে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এ বিষয়ে সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের রক্ষণাবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বদরুল হক বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
রাতেও প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।