২০২৩-০৩-২৬ ০৯:১০:০৯ / Print
বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও যথাযোগ্য মর্যাদায় বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে
(জেসিপিএসসি) ‘মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২৩’ উদ্যাপন করা হয়েছে।
আজ ২৬ মার্চ'২৩ রোববার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের কার্যক্রম শুরু হয়।
সকাল ১১ টায় ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় এবং সকাল সাড়ে ১১ টায় প্রতিষ্ঠানের অডিটোরিয়ামে মূল অনুষ্ঠান হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ লে. কর্নেল মো. কুদ্দুসুর রহমান, পিএসসি ও উপাধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান।
প্রতিষ্ঠানের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী শরীফ যুহায়ের রাফসান রাদ ও নুসরাত জাহান পুষ্পের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী জাকারিয়া নাঈম, দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন সহকারী শিক্ষক মো. আতাউর রহমান।
মহামান্য রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী তানজিম আহমেদ সামি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী লস্কর নাজিফা সাবাহ এবং সম্মাননীয় সেনাপ্রধানের বাণী পাঠ করেন একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আদিব আলমাস।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরিন, একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. লাবিব ইসলাম জয়।
আরও বক্তব্য রাখেন সহকারী শিক্ষক শিপ্রা রাণী দাস। পরে শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ কবিতা আবৃত্তি পরিবেশন করা হয়। এছাড়া বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের সংগ্রামী মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনালেখ্য নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র অসমাপ্ত মহাকাব্য ও বাংলাদেশের জন্মকথার কিংবদন্তি ইতিহাসভিত্তিক তথ্যচিত্র মুজিবনগর: বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী প্রদর্শন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষ্যে ব্যাডমিন্টন, কবিতা আবৃত্তি ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে অধ্যক্ষ তার বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের অবদান তুলে ধরে বলেন, "আজ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস।
স্বাধীনতা স্রষ্টার এক অমৃত নিয়ামত। স্বাধীনতার মানেই হলো- কোন অন্যায় শক্তির কাছে মাথা নত না করে শির উঁচু করে স্ব অবস্থানে অনড় থাকা, নিজের বিশ্বাস ও দর্শনে অবিচল থাকা এবং মৌলিক চাহিদাগুলো সঠিকভাবে পাওয়া।
আমরা সেই স্বাধীনতাই চেয়েছিলাম। যা একটি দেশ বা সরকার প্রধান নিশ্চিত করবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় আমরা তা পাইনি।
বরং পেয়েছি অনাচার, অন্যায় শাসন ও শোষণের বিষাদময় পরাকাষ্ঠা। হাড়ভাঙ্গা খাটুনির পরও বিমাতাসুলভ সরকারি বৈষম্য। এমন অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে লাখো লাখো বাঙালি।
অর্জন করে স্বাধীনতা।" তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, "তোমাদের কাছে একটিই চাওয়া সবার আগে দেশ।
দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা, সাহিত্য, সভ্যতা ও সংস্কৃতির উন্নতিকল্পে নিজেদের জ্ঞানকে বিকশিত করা। নিজেকে সুশিক্ষিত, সুনাগরিক, সচ্চরিত্রের মার্জিত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা।
তোমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে হবে। স্বাধীনতার চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে কাজ করতে হবে। বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে উচ্চাসনে অধিষ্ঠিত করাই হবে আজকের দিনের শপথ। আমি আশা করি সবাই এই প্রতিজ্ঞা অক্ষুণ্ন রাখবে।"
অনুষ্ঠানে আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন সহকারী অধ্যাপক স্বপন কুমার বিশ্বাস। এতে সদস্য হিসেবে ছিলেন শিক্ষকরা।