২০২৩-০৩-২১ ০২:২৯:৪৬ / Print
চলমান বৃষ্টিতে বোরো ফসলের পাশাপাশি উপকৃত হয়েছে চা শিল্প। সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে প্রাণ ফিরে পেয়েছে সিলেটের চা বাগান। গত কয়েক দিন থেকে সিলেট বিভাগের প্রতিটি জেলায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই বৃষ্টিপাত চলতি মৌসুমে চায়ের জন্য বয়ে এনেছে সুফল। বিশেষ করে পুনিং (আগাছাঁটাই) করা চা গাছে দ্রুত কুঁড়ি গজাতে শুরু করেছে। এতে খুশি বাগান মালিক ও চা সংশ্লিষ্ট সবাই।
জানা গেছে, সোমবার (২০ মার্চ) সকালে সিলেটে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। সন্ধ্যায়ও সিলেটের অনেক স্থানে বৃষ্টি ঝরেছে।
তাছাড়া রোববার (১৯ মার্চ) সিলেটে বৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েকদিন থেকে থেমে থেমে হওয়া বৃষ্টিতেও উপকৃত হয়েছে চা গাছ।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলসহ চা শিল্পাঞ্চলে রোববার সকাল ৭ টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত তিন দফায় ১৫.৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষন কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক বিভলু চন্দ্র দাস জানান, রোববার সকাল ৭ টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত তিন দফায় ১৫.৩ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে।
এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ৩ নটিক্যালমাইল অর্থাৎ ৫.৫৬ কিলোমিটার। সকাল ৬ টা ও দুপুর ১২ টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। আজ সোমবার সকালে বৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, সোমবার সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হয়েছে।
বৃষ্টিপাতের এই ধারা আরো কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। এই বৃষ্টি সিলেট অঞ্চলের চা শিল্পের আরো অনেক উপকার করবে।
তারাপুর চা বাগানের ব্যবস্থাপক রিংকু চক্রবর্তী জানান, টানা অনাবৃষ্টিতে চা গাছ মরে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। খরার কারণে সিলেটের চা বাগান সংশ্লিষ্টরা দুশ্চিন্তায় ছিলেন।
কয়েকদিনের বৃষ্টি চা গাছের প্রাণ ফিরিয়ে দিয়েছে। ইতোমধ্যে চা গাছ কুঁড়ি ছাড়তে শুরু করেছে।
চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আশরাফুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টিপাত হওয়াতে চা শিল্পের জন্য সুফল বয়ে এনেছে। বৃষ্টি হওয়ায় এখন চা গাছে দ্রুত নতুন কুঁড়ি চলে আসবে।
টিপিং দ্রুত হবে। এরপর প্লাকিংও শুরু হবে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে লক্ষ্যে মাত্রার ওপরে চা উৎপাদন হবে বলে তিনি জানান।