সিলেটে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হল হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
ঢাকের বোল, কাঁসরের ঘণ্টা, শাঁখের ধ্বনি আর পুণ্যার্থীদের সমাগমে পাঁচ দিন ধরে জমজমাট থাকা পূজামন্ডপগুলো নীরব হয়ে পড়ে রোববার মধ্যাহ্নের পর থেকে। ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল পাঁচ দিনের এই উৎসব।
এর আগে দুপুর ২টা থেকে বিভিন্ন পূজামন্ডপ থেকে শঙ্খ আর উলুধ্বনি, খোল-করতাল-ঢাকঢোলের সনাতনী বাজনার সঙ্গে দেবী বন্দনার গানের মধ্য দিয়ে প্রতিমা নিয়ে শোভাযাত্রা সহকারে সুরমা নদীর চাদনীঘাটে আসেন পুণ্যার্থীরা। সিলেটের বিভিন্ন পূজা উদযাপন পরিষদের হাজারো মানুষের শোভাযাত্রা নিয়ে আসেন চাদনীঘাটে। বিসর্জন ঘিরে পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী, সিআরটি ইউনিট সদস্যদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দিতে দেখা গেছে।
দুপুওে প্রতিমা বিসর্জন কমসূচির উদ্বোধন করেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ নিদ্দিকী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেটের পুলিশ কমিশনার মো. রেজাউল করিম, সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুবুব মুরাদ,
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট মৃত্যুঞ্জয় ধর ভোলা, সিলেট জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি গোপীকা শ্যাম পুরকায়স্থ. সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট রঞ্জন ঘোষ, মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রদীপ দেব, সাধারন সম্পাদক চন্দন দাস, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুদীপ বৈদ্য প্রমুখ।
এবছর সিলেট মহানগর ও জেলায় ৫৯৩টি মন্ডপে পূজা আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ সিলেট মহানগর এবং জেলা শাখা সূত্রে জানা গেছে, সিলেট জেলায় মোট ৪৪০টি মন্ডপে দুর্গা পূজা হয়। তার মধ্যে সার্বজনীন ৪০৮টি ও পারিবারিক ৩২টি। আর সিলেট মেট্রোপলিটন এলাকায় ১৫৩টি মন্ডপে দুর্গা পূজা হয়েছে। তার মধ্যে সার্বজনীন ১৩৬টি ও পারিবারিক ১৭টি
