তারেক রহমান অচিরেই দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও দলটির লন্ডন শাখার সভাপতি এম এ মালেক। তিনি বলেন, সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে অচিরেই বাংলাদেশে ফিরবেন তারেক রহমান। বিগত ফ্যাসিবাদ সরকার তাকে নির্বাসনে রাখতে সকল ধরনের অপচেষ্টা করেছে।
একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে তার দেশে ফেরার পথ রুদ্ধ করা হয়েছিল। তবে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার পতনের পর এখন পুরো দেশ ও জাতির সঙ্গে পুরো বিশ্ব তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিকে তাকিয়ে আছে।
সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নিখোজ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর স্ত্রী দবিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা রুশদীর লুনা, বিএনপির সহসম্পাদক নিলুফার চৌধুরী মনি,বির এনপির কেন্দ্রীয় সদস্য রফিক শিকদার প্রমুখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাপ্তাহিক জয়যাত্রা পত্রিকার প্রধান সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু ও এম এ মালেক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন কমিটির এম জাকারিয়া মাহমুদ। এম এ মালেক বলেন, ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে পা রাখলাম। আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি।
প্রবাসে থাকাবস্থায় মা-ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। তাদের লাশ দেশে আনতে পারিনি। আমাদের সিলেটের সুরমা উপজেলার বাড়ি থেকে টয়লেটের কমোড পর্যন্ত তারা নিয়ে গেছে। আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। তবুও আমাকে দমাতে পারেনি। তিনি বলেন, আপনারা জানেন ফ্যাসিবাদী সরকারের প্রধানমন্ত্রী আমাকে লন্ডনে চায়ের দাওয়াত দিয়েছিল, আমি প্রত্যাখ্যান করেছি।
খুনি হাসিনা আমার নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বছরের পর বছর কারাগারে রেখেছে। আমার নেতা তারেক রহমানকে প্রবাসে থাকতে বাধ্য করেছে। তার সাথে কীসের চায়ের নিমন্ত্রণ। গত ১৭ বছর এম ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম, সুমনসহ প্রায় ৬ শতাধিক বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে গুম করেছে।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের দুই মাসের অধিক সময় পার হলে গেল এখনও কেউ ফিরে আসেনি কেন? আমি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।
তিনি সারা পৃথিবীতে অত্যন্ত সম্মানিত একজন ব্যক্তি। তার হাতে দেশ ও জাতি নিরাপদ। তিনি অতি দ্রুত সংস্কার শেষ করে দেশে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।
