২০২০-০৬-২০ ১৬:২৭:১২ / Print
রংপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় বসত প্রায় ১২ লাখ মানুষের। তাদের করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার নেই কোনো সুব্যবস্থা। কোথায় নমুনা দিতে হবে, কারা তা সংগ্রহ করবে, এই বিষয়ে নগরবাসী জানেন না। এমনকি সিটি করপোরেশন বা স্বাস্থ্য বিভাগও করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহের কোনো বুথ স্থাপন করেনি। চার জেলার সন্দেহভাজনদের নমুনা সংগ্রহ এবং পরীক্ষার জন্য মাত্র একটি পিসিআর ল্যাব থাকায় এখানে পরীক্ষার নামে চলছে চরম নৈরাজ্য।
শুধু তাই নয় রংপুর সিটি করপোরেশনে প্রতিদিন মাত্র ৪০ জনের পরীক্ষা করানোর ব্যবস্থা আছে। এদের মধ্যে ২০ জন
পুরোনো আক্রান্ত রোগী এবং নতুন সন্দেহভাজন ২০ জন ।
অপরদিকে করোনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পেতে ৭-৮ দিন সময় লাগছে। ইতোমধ্যেই রংপুর মেডিকেল কলেজ পিসিআর মেশিনে এক হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষার অপেক্ষায় পড়ে আছে।
রংপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কামরুজ্জামান তাজ জানান, রংপুর নগরীতে ভয়াবহ অবস্থা কিন্তু আমরা অসহায়।
তিনি জানান, আমাকে মাত্র ৪০ জনের নমুনা সংগ্রহ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২০টি পুরাতন রোগী এবং নতুন ২০টি রোগী।
তিনি বলেন, রংপুর মেডিকেল কলেজের পিসিআর মেশিনের ক্ষমতা ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষার। সেখানে এক হাজারের বেশি নমুনা পড়ে আছে। ফলে আমরা সিটি করপোরেশনে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠাচ্ছি।
অন্যদিকে রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় লোক সংখ্যা ১ কোটি ২৫ লাখ । বিভাগের ২টি পিসিআর ল্যাবে এ পর্যন্ত করোনা পরীক্ষা হয়েছে মাত্র ১৭ হাজার ৭৪০ জনের। শতকরা হিসেবে দশমিক ১ ভাগের কম মানুষের করোনা পরীক্ষা হয়েছে।
রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. আমিন আহাম্মেদ জানান, দুটি মেশিন দিয়ে নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব নয়, এর সংখ্যা বাড়াতে হবে।