২০২৪-০৪-২০ ০৪:১০:০০ / Print
কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদের ১০টি দানবাক্স খুলে পাওয়া গেছে ২৭ বস্তা টাকা। প্রতি তিনমাস অন্তর এসব দানবাক্স খোলা হয়।
কিন্তু এবার রমজান আর ঈদের লম্বা ছুটির কারণে চার মাস ১০ দিন পর দানবাক্স খোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মসজিদ কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।
আগেরবার গত ৯ ডিসেম্বর দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন পাওয়া গিয়েছিল এ যাবত কালের সর্বোচ্চ ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা। তখন ৯টি দানবাক্স ছিল। কিন্তু এবার সবগুলো দানবাক্স ভরে যাওয়ায় একটি বাড়ানো হয়েছিল।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মহুয়া মমতাজের উপস্থিতিতে সকাল ৭টা থেকে এসব দানবাক্স খোলা শুরু হয়।
সিলগালা করা একেকটি দানবাক্স খুলে টাকাগুলো বস্তায় ভরে দোতলায় নিয়ে মেঝেতে ঢেলে গণনা করা হচ্ছে। এবার পাগলা মসজিদ কমপ্লেক্স মাদ্রাসার ১০২ জন ছাত্র ও রূপালী ব্যাংকের ৭০ জন স্টাফ টাকা গণনায় অংশ নিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, ছাত্ররা টাকার মান অনুযায়ী নোটগুলো আলাদা করছেন। এগুলো ব্যাংকের কিছু স্টাফ ১০০টি করে বান্ডিল বাঁধছেন। অন্য স্টাফরা সেগুলো কাউন্টিং মেশিনে গণনা করে আলাদা করে সাজিয়ে রাখছেন।
গণনা শেষে এসব টাকা রূপালী ব্যাংকে মসজিদের হিসাবে জমা করা হবে। তবে টাকার পাশাপাশি বেশ কিছু বিদেশি মুদ্রা এবং অলঙ্কারও পাওয়া গেছে। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানিয়েছেন, টাকা গণনার দিন যেভাবে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ দিয়ে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।
একইভাবে সবসময় এই এলাকায় মসজিদকে কেন্দ্র করে নিয়মিত পুলিশী টহলেরও ব্যবস্থা থাকে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, মজিদের দানের টাকা থেকে এখানে একটি বহুমুখী কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে।
আগামী মাসেই পরামর্শক নিয়োগ করা হবে। এরপর টেন্ডার আহ্বান করে কমপ্লেক্স নির্মাণের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।
এলাকাবাসীর চাহিদা অনুসারে এখানে একসঙ্গে ২০ হাজার মুসল্লির নামাজ আদায়ের মতো করে কমপ্লেক্সটি নির্মাণ করা হবে।