২০২১-১১-২৪ ০৯:৫৪:২০ / Print
করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর খুলেছে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)। এরই মাঝে শিক্ষক-শিক্ষার্থীতে মুখরিত হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস।
এদিকে, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় ক্যাম্পাসের আশপাশের বিভিন্ন জায়গায় জমেছে ময়লা। আবাসিক হলের চারিদিকে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নালা, ডোবাগুলো নোংরা পানিতে ভর্তি। সেগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করার কারণে জন্ম নিচ্ছে মশা। আর এ মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা। এতে করে বিঘ্ন হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ। মশাবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, 'ক্যাম্পাস ও হলের আশপাশে থাকা ড্রেন, ঝোপঝাড়, জঙ্গলগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করায় মশার উপদ্রব বেড়েছে। ক্যাম্পাসে মশা নিধনেরও কোন কার্যক্রম নেই। যার ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে আমাদের।'
সরেজমিন দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের কোয়ার্টার ও আবাসিক হল, অ্যাকাডেমিক ভবনগুলোর আশপাশে ঝোপ-জঙ্গল ও ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করায় ক্যাম্পাসে মশার উপদ্রব বেড়েছে। বিকেল নামার সঙ্গে সঙ্গে শুরু মশার উৎপাত।
এর ফলে বিকেলের পর থেকে বঙ্গবন্ধু চত্বর, গোলচত্বর, লাইব্রেরি, শহীদ মিনার, আবাসিক হলসহ পুরো ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের অবস্থান করা কঠিন হয়ে পড়ছে। শুধু তা-ই নয়, বিকেলে ক্লাস ও আবাসিক হলে শিক্ষার্থীদের রাতযাপনও কঠিন হয়ে পড়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ফাউজুল হোসেন বলেন, বিকেল হওয়ার পর থেকে এই হলে মশার উপদ্রব বেড়ে যায়। মশা থেকে বাঁচতে কয়েল, মশারির ব্যবহার করেও কাজ হচ্ছে না। ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছি আমরা।
বিশ্ববিদ্যালয় ডেপুটি চীফ মেডিকেল অফিসার ডা. কৃষ্ণপদ আচার্য্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশ যদি নিয়মিত পরিস্কার করা না হয়, তখন এখান থেকে মশার জন্ম হতে পারে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশন মিলে এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। নাহয় শিক্ষার্থীদের মশাবাহিত বিভিন্ন রোগ মাইক্রোসেফালি, ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া ও ম্যালেরিয়া হতে পারে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বলেন, কিছুদিন আগে মশা নিধনের ঔষধ ছিটানো হয়েছে। নতুন করে ক্যাম্পাসে ঔষধ ছিটানোর জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।
সিলেট সান/এসএ