২০২১-০৯-০৫ ০৮:২৩:৪৩ / Print
দিনে কেউ ফল বিক্রেতা, গার্মেন্টকর্মী বা ট্রাকচালক। রাত হলেই পরিকল্পনা করে নামত সংঘবদ্ধ ডাকাতিতে। গত নয় মাসে সাতটির বেশি ডাকাতি করেছে তারা। রংপুরের পীরগঞ্জে ডাকাতির সময় হানিফ পরিবহনের চালক হত্যার সঙ্গেও জড়িত ছিল চক্রটি।
বিশেষ করে গাইবান্ধা-রংপুর মহাসড়কে ডাকাতির অন্যতম হোতা ছিল তারা। শনিবার রাতে রাজধানীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে এই চক্রের মূলহোতাসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন র্যাব।
রবিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ানবাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান এলিট ফোর্সটির মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
এদিকে ৩১ আগস্ট হানিফ পরিবহনের একটি বাসে ডাকাতির সময় চালককে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়। সেই মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ডাকাতি ও হত্যার কাজে ব্যবহৃত পাঁচটি ছুরি উদ্ধার করেছে র্যাব।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- নয়ন চন্দ্র রায়, রিয়াজুল ইসলাম লালু, ওমর ফারুক, ফিরোজ কবির, আবু সাঈদ মোল্লা ও শাকিল মিয়া।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার নয়ন চন্দ্র রায় এই চক্রের মূলহোতা। এদের মধ্যে কেউ আশুলিয়ার বিভিন্ন গার্মেন্টসে চাকরির পাশাপাশি ফল বিক্রি, অটোরিকশা চালানোসহ বিভিন্ন পেশায় জড়িত। রিয়াজুল ইসলাম লালু পেশায় একজন ট্রাকচালক।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, রাতে ঢাকার বাস কাউন্টার থেকে যাত্রীবেশে টিকেট কেটে দূরপাল্লার বাসে উঠে নির্জন এলাকায় বাসচালককে ধারালো ছুরি দেখিয়ে বাসের নিয়ন্ত্রণ নিত ডাকাত দলটি। এরপর যাত্রীদের কাছ থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র ডাকাতি করে পালিয়ে যেত। যাত্রীবেশে তারা ডাকাতি হানিফ পরিবহন ছাড়াও শ্যামলী পরিবহন, রত্না স্পেশাল, সিটিবাড়ি স্পেশাল, সৈকত পরিবহনে ডাকাতি করেছে।
র্যাব মুখপাত্র বলেন, হানিফ পরিবহনের চালক হত্যার ঘটনায় বাসের সুপারভাইজার বাদি হয়ে রংপুরের পীরগঞ্জ থানায় মামলা করে। এই ঘটনায় র্যাব-১ ও র্যাব-১৩ আশুলিয়া ও গাইবান্ধায় অভিযান চালায়। অভিযানে বাসচালককে হত্যা ও ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিলেট সান/এসএ