![গবেষণা : শকুনের সংখ্যা কমায় বেড়েছে মানুষের মৃত্যুর হার গবেষণা : শকুনের সংখ্যা কমায় বেড়েছে মানুষের মৃত্যুর হার](https://sylhetsun.com/others/uploads/post/P001F1_IMG_20240727_005001.jpg)
২০২৪-০৫-১১ ২২:২৮:৪৪ / Print
গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে চা চাষের ইতিহাসে সর্বোচ্চ উৎপাদন হয়েছিল। সেই চা নিলামে বিক্রি শেষ হয়েছে গত ৮ এপ্রিল। তাতে দেখা যায়, নিলামে প্রতি কেজি চা গড়ে বিক্রি হয়েছে ১৭১ টাকা ২৪ পয়সা।
চায়ের নিলামের গত ১২ বছরের ইতিহাসে এই দর সবচেয়ে কম। এ অঞ্চলে চা চাষ শুরু হয় ১৮৪০ সালে। চায়ের বিপণনের নিয়ম অনুযায়ী, বাগানমালিকেরা বাগান থেকে পাতা তুলে চা তৈরির পর তা গুদামে পাঠান।
ব্রোকার্স প্রতিষ্ঠানগুলো সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে। নমুনা অনুযায়ী চায়ের মান নির্ধারণ করে তারা। এরপর প্রতি সপ্তাহে নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতার কাছে চা বিক্রি করা হয়।
লট অনুযায়ী সর্বোচ্চ দরদাতারা কর পরিশোধ করে গুদাম থেকে চা তুলে নেন। এর বাইরে বাগানমালিকেরা চাইলে নিজস্ব বাগানের উৎপাদিত চায়ের ২৫ শতাংশ নির্ধারিত পরিমাণ কর দিয়ে প্যাকেটজাত করে বাজারে বিক্রি করতে পারেন।বর্তমানে দেশে তিনটি নিলামকেন্দ্র-চট্টগ্রাম, শ্রীমঙ্গল ও পঞ্চগড়ে চায়ের নিলাম অনুষ্ঠিত হয়।
এই তিন নিলামকেন্দ্রের তথ্যে রেকর্ড উৎপাদন ও সর্বনি¤œ দরের চিত্র উঠে এসেছে। ব্রোকার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিবেদনেও এ হিসাব তুলে ধরা হয়।
১২ বছরে সবচেয়ে কম দর :
নিলামের প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২৩-২৪ মৌসুমে চট্টগ্রামে ৫০টি নিলামে চা বিক্রি হয়েছে ৯ কোটি ৪৮ লাখ কেজি। প্রতি কেজি চায়ের গড় দর পাওয়া গেছে ১৭১ টাকা ৯১ পয়সা।
শ্রীমঙ্গলে ২৫টি নিলামে ১৩ লাখ ৪০ হাজার কেজি চা বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি চায়ের গড় দর ছিল ১৭১ টাকা ৩৮ পয়সা। এ ছাড়া পঞ্চগড়ে ১৪টি নিলামে ৯ লাখ ৬০ হাজার কেজি চা বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি গড়ে ১০৫ টাকা ১৯ পয়সায়।
সব মিলিয়ে তিনটি নিলামকেন্দ্রে ৯ কোটি ৭১ লাখ কেজি চা বিক্রি হয়েছে। এতে গড় দর পাওয়া গেছে ১৭১ টাকা ২৪ পয়সা। চা বোর্ড ও ব্রোকার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্যে দেখা যায়, গত ১২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম দরে চা বিক্রির রেকর্ড রয়েছে ২০১১-১২ মৌসুমে।
সেবার প্রতি কেজি চা নিলামে গড়ে বিক্রি হয়েছে ১৫৬ টাকা ১৪ পয়সায়। এরপর সবচেয়ে কম দর ছিল সদ্য শেষ হওয়া ২০২৩-২৪ মৌসুমে। গত ১২ বছরে নিলামে চায়ের সবচেয়ে ভালো দাম পাওয়া গেছে ২০১৮-১৯ মৌসুমে।
ওই সময়ের নিলামে প্রতি কেজি চা গড়ে বিক্রি হয়েছে ২৬২ টাকা ৯৬ পয়সায়। সেবার ২ হাজার ৮৬ কোটি টাকার চা নিলামে বিক্রি হয়েছিল। মজুরি ও উপকরণের দাম বাড়ায় চা-শিল্পে উৎপাদন খরচ বেড়েছে।
চা-বাগানের মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশনের হিসাবে, উৎপাদন খরচের চেয়ে নিলাম দর অনেক কম। তাতে চা-শিল্পে উৎপাদকেরা লোকসান গুনছেন।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনে গত ২০ নভেম্বর পাঠানো এক চিঠিতে সংগঠনটি জানায়, ২০২২ সালে প্রতি কেজি চায়ের গড় উৎপাদন খরচ ছিল ২১৭ টাকা।
২০২৩ সালে উৎপাদন খরচ আরও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি কামরান টি রহমান।
২৪ এপ্রিল চা বোর্ডের ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণবিষয়ক একটি কমিটির বৈঠকের কার্যবিবরণীতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে চা উৎপাদনে ৪৬৫ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।