২০২৪-০২-১৪ ০৬:৪১:৪৬ / Print
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার লালাবাজারে বাসিয়া নদীর উপর নির্মিত ঐতিহ্যবাহী পায়ে চলার পুরনো সেতুটি ভেঙে ফেলার ঘটনায় এলজিডি সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি লালাবাজারের ৪১ জন ব্যবসায়ীর পক্ষে টিলাবাড়ি গ্রামের আজাম আলীর ছেলে আব্দুল করিমের দায়ের করা রিটের (নং ১১৪১/২৪) প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি নাজমা হায়দার ও কাজী জিন্নাত হক এ রুল জারি করেন।
রুলে লালাবাজারের পশ্চিম বাজারে বাসিয়া নদীর উপর নতুন সেতু নির্মাণের জন্য পুরাতন সেতুটি ভাঙার কারণ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে নতুন সেতু নির্মাণের জন্য বিগত ২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বরের (স্মারক নং ৪৬০২৯১০০.০০০.১৪.৪৮৮.২৩-৪১০১) ওয়ার্ক অর্ডারটি কেন বাতিল হবে না-এ মর্মে আগামী ৫ মার্চের মধ্যে এলজিডিকে কারণ দর্শাতে বলেছেন মহামান্য হাইকোর্ট।
রিটকারী আব্দুল করিম বলেন, আমরা ৬৫ জন ব্যবসায়ীর স্বাক্ষর নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেছি। আমাদের দাবি, পুরনো ব্রীজ জায়গায় রেখে দক্ষিণ দিকে নতুন ব্রীজ করা হোক।’
লালাবাজারের ব্যবসায়ী ধন মিয়া বলেন, আমাদের পায়ে চলার ব্রীজটি অনেক পুরনো। পুরনো ব্রীজটি না ভেঙে দক্ষিণ দিকে নতুন ব্রীজ করার দাবি জানিয়ে আসছি আমরা। এতে ঐতিহ্যবাহী সেতু রক্ষা পাবে।
পাশাপাশি নতুন ব্রীজের সড়কের কারণে শত বছরের পুরনো বাজারটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। কিন্তু এলজিডির প্রকৌশলীরা আমাদের দাবি না মেনে ঐতিহ্যবাহী ব্রীজটি ভেঙে ফেলেছেন। তাই আমরা ব্যবসায়ীরা হাইকোর্টে রিট করেছি।’
দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালা বাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোয়াজিদুল হক তুহিন বলেন, মূল পুরনো ফুট ব্রীজ জায়গায় রেখে দক্ষিণ দিকে নতুন ব্রীজ করার দাবি জানিয়ে আসছেন ব্যবসায়ীরা। এতে ফুট ব্রীজটি রক্ষা পেতো, আবার নতুন ব্রীজ নির্মাণ হতো। এপ্রোচ সড়কের কারণে শত বছরের পুরনো লালা বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হতো না।’
সিলেট এলজিডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফারুক হোসেন বলেন, লালাবাজারে একটি নতুন সেতু নির্মাণের জন্য আমরা পুরনো ব্রীজটি ভেঙে ফেলেছি। এ বিষয়ে হাইকোর্টের রিট বা রুলের কাগজপত্র আমরা এখনো পাইনি। নথি পাওয়ার পর আমাদের আইন শাখার মাধ্যমে এ বিষয়ে জবাব দাখিল করা হবে।’