২০২১-০৪-১৪ ১২:২২:০১ / Print
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তে আধিপত্য বিস্তার করা নিয়ে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অর্ধশত আহত হয়েছে।
তাদের মধ্যে গুরুত্ব আহতরা হলেন, তারাব আলী (৪৫), শিমুল মিয়া (২১), শিরিন মিয়া(৪৫), আলাউদ্দিন (৪০), জাফর আলী (৩০), শহিদ মিয়া (২৫), সাইবুল (৩৫), হাবিবুর (৩০),জসিম মিয়া (২৬), আলাউদ্দিন (৩০),আবুল হোসেন (৩৫), অজুদ মিয়া (৩২), কাসেম মিয়া (২৭),আব্দুল্লাহ (২০), আশিকনুর (৩৮),আফল আলী (২৭)সহ উভয় পক্ষের অর্ধশত আহত হয়েছে।
গুরুতর আহত উভয় পক্ষের ১৫জনকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেয়া হয়েছে।
বর্তমানে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে পরিস্থিতি উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের বালিয়াঘাট গ্রামের এই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের বালিয়াঘাট গ্রামের আমির আলী ও একই গ্রামের উমর আলীর লোকজনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মঙ্গলবার সকালে উমর আলীর বাতিজা শিমুল মিয়া ও আমির আলীর চাচাতো ভাই হাবিব মিয়ার মধ্যে পাটলাই নদীতে নৌকার মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। সন্ধায় এ বিষয়টিকেই কেন্দ্র করে আবার বালিয়াঘাট নতুন বাজারে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এরই জের ধরে বুধবার সকালে উভয়ই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বালিয়াঘাট গ্রামের সামনে ফের ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এতে উভয়ই পক্ষের অর্ধশত মানুষ আহত হয়েছে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। বিকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আহতদের চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করা হয়।
তাহিরপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ তরফদার জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। এখনও থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।
সিলেট সান/এসএ