২০২৪-০৪-১৮ ১৮:২৬:৩৯ / Print
জমির মূল্য ৫০ হাজার টাকা। পরিমাণ প্রায় দশমিক ৭ শতাংশ। জমির মালিক সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের সাকিদপুর গ্রামের প্রয়াত যুক্তরাজ্য প্রবাসী হাজী হুশমত আলী।
দিরাই বাজারেই হুসমত আলীর ১ত শতাংশ জমির অবস্থান। এরমধ্যে এক শতাংশ জমির মালিক হুসমত আলীর ৬ ছেলে ও ৩ মেয়ে। দীর্ঘ দিন জমির ভাড়া ভোগ করে আসছিলেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী শফিকুল ইসলামের সৎ বোনের ছেলে মিহির চৌধুরী।
সম্প্রতি দেশে আসেন শফিকুল ইসলাম। দেশে আসার পর দেখতে পান ভাগনে মিহির অনেকটাই পরিবর্তন হয়ে গেছেন। এমন অভিযোগব শফিকুল ইসলামের।
তিনি বিষয়টি স্থানীয় দিরাই উপজেলা চেয়ারম্যান মনজুর আলম চৌধুরী, পৌরসভার মেয়র বিশ্বজিৎ রায়, প্যানেল মেয়র লিটন রায়, সালিশ ব্যক্তি আব্দুল হক মিয়া সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবগত করেন।
পরবর্তীতে সালিশ ব্যক্তিরা জমির বাজার মূল্য না দেখে ভাগনে হিসেবে মিহিরকে তিন লক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য নির্ধারণ করে দেন।
সালিশের সেই রায় মেনেও নেন মিহির চৌধুরী। এমনকি তার দেওয়া ভাড়াটে ১ মাস পর চলে যাবে বলে জানান। অথচ ভাগনে মিহির শালিসে নির্ধারিত টাকা না নিয়ে উল্টো পথে হাটেন।
মিহির সালিশ প্রত্যাখ্যান করে সেই দোকান ঘরে থাকা ভাড়াটেকে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে শফিকুল ইসলামকে নানাভাবে হয়রানি করতে থাকেন। তার বিরুদ্ধে সাজানো এজাহারও দেন থানায়। পুলিশ ঘটনার সত্যতাও পায়নি।
এ নিয়ে প্রবাসী শফিকুল অনেকটা মনঃক্ষুণ্ণ হন। তিনি আবারো সালিশ ব্যক্তিদের কাছে গেলে তারা থানায় মামলা করার পরামর্শ দেন। বর্তমানে ওই দোকান ঘরটি তালা দেওয়া। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এ ব্যাপারে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা দিরাই থানার এসআই অনুজ কুমার দাস বলেন, বিষয়টার তদন্ত অব্যাহত আছে। আমরা দুই পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টা দেখব।
এ ব্যাপারে যুক্তরাজ্য প্রবাসী শফিকুল ইসলাম বলেন, এই জমি দোকানকোঠা সবই তারা দেখাশোনা করত। আমাদের বড় ভাই মারা যাওয়ার পর আমার উপর দায়িত্ব বর্তায়।
আমি মিহিরের এমন অপকর্ম দেখে ব্যথিত হই। অথচ এই জমি আমার উপার্জনের টাকা দিয়ে ১৯৯৭ সালে বাবার নামে কিনি। বিষয়টা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা দেখছেন।
তাদের উপর আস্থা আছে। তারা আমাদেরকে হতাশ করবে না। এ ব্যপারে মিহির চৌধুরীকে মোবাইলে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেন নি।