২০২১-০২-১৩ ১৩:১৪:৪৩ / Print
কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের কথায় ‘ফুল ফুটুক না ফুটুক, আজ বসন্ত। শান-বাঁধানো ফুটপাতে, পাথরে পা ডুবিয়ে এ কাঠখোট্টা গাছ, কচি কচি পাতায় পাঁজর ফাটিয়ে হাসছে। ফুল ফুটুক না ফুটুক, আজ বসন্ত। সত্যিই আজ পয়লা ফাগুন। ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন। শীতের রিক্ততা ভুলিয়ে আবহমান বাংলার প্রকৃতিতে আজ ফাগুনের ছোঁয়া, আগুনরাঙা বসন্তের সুর। গাছে গাছে ফুটবে রক্ত শিমুল-পলাশ, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, নাগলিঙ্গম।
ঋতুরাজ বসন্ত নিয়ে বাংলা সাহিত্যে জীবনধর্মী লেখায়, কবি, সাহিত্যিকরা লিখেছেন অজস্র কবিতা,গান- উপন্যাস। প্রকৃতির সঙ্গে মিল রেখে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসও পালিত হয়। শহরকেন্দ্রিক সভ্যাতায় বসন্ত বা বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের আনুষ্ঠানিকতা উদ্যাপনের আঁচ লেগেছে গ্রাম বাংলায়ও।
দেশের ঐতিহাসিক বিভিন্ন দিবসের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি করা হয়েছে নতুন বাংলা বর্ষপঞ্জি। নতুন এই বর্ষপঞ্জিতে জাতীয় দিবসের বাংলা তারিখ এখন থেকে একই থাকবে প্রতি বছর।
সংশোধিত বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী, বাংলা বৈশাখ থেকে আশ্বিন পর্যন্ত প্রথম ছয় মাস ৩১ দিন, কার্তিক থেকে মাঘ মাস ৩০ দিন এবং ফাল্গুন মাস ২৯ দিন ধরে গণনা করা হবে। তবে গ্রেগরীয় পঞ্জিকার অধিবর্ষে ফাল্গুন মাস ২৯ দিনের পরিবর্তে ৩০ দিন গণনা করা হবে। সে হিসেবে পহেলা বৈশাখ আগের মতোই ১৪ এপ্রিল থাকবে।
সিলেট সান/এসএ