২০২১-০১-১৫ ০৮:০৯:২৩ / Print
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা দুই শিশুর ঝগড়াকে কেন্দ্র করে মলাই মিয়া ও হামিদ মিয়া গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে মহিলাসহ ৩০জন আহত হয়েছে। আহতরা হল সাহারা বেগম(৩৫), জুলেহা বিবি(৬০), সেলিনা বেগম(৩৫), ফরিদ মিয়া(৩৫), দুলাল মিয়া(৩৭), মানিক মিয়া(৫০), সামিদ মিয়া(৪৫), আবু বক্কর(৪০), বোরহান মিয়া(২৭) সহ ৩০জন আহত হয়েছে।
আহতদের তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে। গুরুত্ব আহতের মধ্যে তিন মহিলাসহ ৪জনকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে ও বিকালে উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়ন ধরুন গ্রামে দু'দফা সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।
জানা যায়, উপজেলার ধরুন গ্রামের দুপুরে হামিদ মিয়ার ছেলে নজির হোসেনে সাথে মনিকের ছেলে মামুন সাথে খেলা নিয়ে কথা কাটাকাটি এক প্রর্যায়ে হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে মলায় মিয়া ও হামিদ মিয়ার লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জরিয়ে পরে। এসময় এক পক্ষ লোকজন অন্য পক্ষের বাড়ি হামলা চালায়।
ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষে দুপক্ষে মহিলাসহ ৩০জন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে বাদাঘাট পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান ও এ এসআই রাজু বিশ্বাসের নেতৃত্ব একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, এই ঘটনার পুর্বে গত বছরে আশুরার জারী করা নিয়ে ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মলায় মিয়া ও হামিদ মিয়ার মধ্যে বিরোধ চলছে।
বাদাঘাট পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান সংঘর্ষের ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আছে পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে।
সিলেট সান/এসএ