২০২৪-০৭-০৬ ১১:১০:২২ / Print
সিলেট নগরীর লালদিঘীরপার পুনবার্সিত হকার মার্কেটের ভেতরে কয়েকটি রোগাক্রান্ত গরু নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে এনিয়ে ব্যবসায়ীদের মধ্যে চলছে কানাগুষা।
এই গরুগুলো যেকোন সময় জবাই করে বিক্রি করা হতে পারে যেকোন এলাকায়। ্ শুক্রবার বিকাল ৪ টায় লালদিঘীর পার পুনবার্সিত হকার মার্কেটে গিয়ে দেখা যায় বেশ কয়েকটি গরু পেছনের একটি ঘরে বেধে রাখা। এরমধ্যে তিনটি গরু রোগাক্রান্ত। গরুগুলো অনেকটা হালকা পাতলা। কোন কোন গরুর চামড়া পচে খসে পড়ছে।
কোন টির গা থেকে বের হচ্ছে রক্ত। কোন কোনটি বসা থেকে উঠতেও পারছেনা। গরুর গা থেকে বের হচ্ছে দুর্গন্ধ। গরুর মালিক কে জানতে চাইলে দৌড়ে আসে কয়েকজন কিশোর। তারা জানায় এই গরুর ,মালিক সিলেট মহানগর হকার ঐক্য কল্যাণ পরিষদের সভাপতি রকিব আলীর। তাদের কেউ কেউ জানায় গরুগুলো বিক্রি করা হবে।
আবার কেউ কেউ জানায় গরুগুলোর চিকিৎসা চলছে। কিশোরদেও পরষ্পর বিরোধী বক্তব্যে সেখানেই তারা নিজেরা বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে। লালদিঘীরপার মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, এই গরু গুলোর মালিক রকিব আলী। তিনি প্রায়ই এধরনের গরু কিনে নিয়ে আসেন। সিলেটে প্রতিকেজি গরুর মাংস যেখানে ৭৫০ টাকা।
আর লালদিঘীরপার হকার মার্কেটে রকিব আলীর মাংসের দোকানে কেজি ৭০০ টাকা। তবে মাঝেমধ্যে দাম সমন্বয় করা হয়। যখন রোগা গরু আনা হয় তখন দাম কমিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হয় বলেও জানান ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা জানান, মাস দুয়েক আগে লালদীঘির পার মাঠে একটি গরু ডিপ টিউবওয়েলের বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে মারা যায়। এরপর গরুটি জীবিত বলে কেটে অন্য এলাকায় নিয়ে মাংসগুলো বিক্রি করে দেওয়া হয়। এনিয়ে তখন নানা সমালোচনা হয়।
এ ব্যপারে মহানগর হকার ঐক্য কল্যাণ পরিষদের সভাপতি রকিব আলী সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার এখানে কয়েকটি রোগাক্রান্ত গরু আছে ঠিকই। কিন্তু গরুগুলো চিকিৎসার জন্য আনা হয়েছে।
সুস্থ হলে ৬ মাস পর জবাই করে বিক্রি করা হবে। এর আগে মরা গরু বিক্রি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি বিক্রির কোন প্রশ্নই ওঠেনা। এই গরু কসাই এনে ফেলে দেওয়া হয়েছে।