২০২৪-০৫-২৮ ২০:৪৮:১২ / Print
গত এক দিনের টানা বর্ষন ও উজান হতে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে জৈন্তাপুরে উপজেলা নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
সরজমিনে ঘুরে উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের গোয়াবাড়ী, বাইরাখেল, মযনাহাটি, বন্দরহাটি, মেঘলী, তিলকৈপাড়া, ডিবিরহাওর, ফুলবাড়ী, টিপরাখরা, খলারবন্দ, মাঝেরবিল, হর্নি, নয়াবাড়ী, কালিঞ্জিাদবাড়ী, জৈন্তাপুর ইউনিয়নে লামনীগ্রাম,
মোয়াখাই, বিরাইমারা, মুক্তাপুর, বিরাইমারা হাওর, লক্ষীপুর, কেন্দ্রী, খারুবিল, নলজুরী, শেওলারটুক, বাওনহাওর, চারিকাটা ইউনিয়নের লাল, থুবাং, উত্তর বাউরভাগ সহ বিভিন্ন গ্রমে পাহাড়ী ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে। অপরদিকে উপজেলার সবচাইতে বড় নদী সারী, বড়গাং, নয়াগাং ও রাংপানি নদীর বিপদ সীমার কাছাকাছি রয়েছে।
ডিবিরহাওর গ্রামের বাসিন্ধা হারুন মিয়া, মানিক মিয়া, মাসুক আহমদ সহ অনেকেই বলেন পাহাড়ী ঢলে এবং অতিবৃষ্টির কারনে এই বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। যার কারনে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এই বন্যার পানি বেশিক্ষণ স্থায়ী হবে না। বৃষ্টি থামলে পানি নেমে যাবে।
তবে সৃষ্টি বন্যায় কৃষকদের কোন ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। হনি, বাইরাখেল, মাঝের গ্রামের বাসিন্ধা গনি মিয়া, আব্দুস শুকুর, হোসেন আহমদ বলেন, অতি বৃষ্টির কারনে এবং উজান হতে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে আমাদের নিম্নাঞ্চল গুলো পানিতে তলিয়ে গেছে।
যদি বৃষ্টি না থামে তাহলে বন্যা পরিস্থিতি মারাত্বক আকার ধারন করতে পারে। তবে বৃষ্টি থেমে গেলে ৪/৫ ঘন্টার মধ্যে পানি নেমে যাবে। আশারাখি সৃষ্টি বন্যায় কৃষকদের ক্ষতি হবে না।
তবে বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে ক্ষতির সম্ভাবনার আশংকা রযেছে। এদিকে জৈন্তাপুর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে জানানো হয়, টানা বৃষ্টির করনে উপজেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।
তবে বৃষ্টি থামলে দ্রুত পানি নেমে যাবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালিক রুমাইয়া প্রতিবেদককে জানান, টানাবৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে ফ্লাস বন্যায় উপজেলার নিম্নাঞ্চল পানিতে ডুবেছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে নিম্নাঞ্চলের বাসিন্ধাদের খোঁজ খবর রাখা হয়েছে।
বন্যা মোকাবেলায় প্রশাসন প্রস্তুত রযেছে। এছাড়া সকল নদী পথে যাতায়াত কারীদের সর্তকবস্থায় চলাচলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।