২০২৩-১০-১৭ ০৮:৫৩:১০ / Print
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় ধারালো ব্লেড দিয়ে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দিলেন প্রথম স্ত্রী। মঙ্গলবার ভোর রাতে উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের কামড়াবন্দ গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।
এঘটনায় অভিযুক্ত স্ত্রী জহুরা বেগমকে (২৫) আটক করেছে পুলিশ। আটক জহুরা আক্তার বাদাঘাট ইউনিয়নের কামড়াবন্দ গ্রামের শাহনুর মিয়ার মেয়ে। আহত আজিজুল মিয়া (৩৫) একই গ্রামের শুক্কুর আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসীর জানায়,পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,২০২১ সালে বাদাঘাট ইউনিয়নের কামড়াবন্দ গ্রামের শুক্কুর আলীর ছেলে একই গ্রামের শাহনুরের মেয়ে জহুরা বেগম (২৫)দুজন নিজেদের পছন্দে বিয়ে করেন। বিয়ের কয়েকমাস পর তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য দেখা দেয়।
এর পর থেকে জহুরা বাবার বাড়িতে থেকেই তাহিরপুরে একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকুরি করতেন। পরে আজিজুল দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দ্বিতীয় বিয়ের পর আজিজুল প্রথম স্ত্রী জহুরাকে ডিভোর্স দেয়। কিন্তু জহুরা দাবি করেছেন, তাদের মধ্যে কোনো ছাড়াছাড়ি হয়নি।
দ্বিতীয় বিয়ের পরও প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন আজিজুল। প্রথম স্ত্রীর করা এক মামলায় কিছুদিন জেলও খাটেন আজিজুল। ঘটনার দিন জহুরা ডেকে নিয়ে যান তার বাড়িতে। ভোর রাতে একপর্যায়ে ধারালো ব্লেড দিয়ে পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেন।
পরে থাকে আশংকা জনক অবস্থায় প্রথমে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় জহুরার বাবা শাহনুর মিয়া বলেন, বিয়ের কিছুদিন পর মেয়েকে আজিজুল যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে।
টাকা না পেয়ে মেয়েকে মানুষিক ও শারীরিক নির্যাতন করতো সে। এর মাঝে আজিজুল কিছু না জানিয়ে আবার দ্বিতীয় বিয়ে করে। ঘটনার রাতে আমরা ঘুমে ছিলাম।
বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ নাজমুল হাসান বলেন, ঘটনার পর পরই অভিযুক্ত জহুরাকে আটক করা হয়েছে।
তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কাজী নাজিম উদ্দীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।