২০২৩-০৭-২৭ ০৯:৫১:৫৪ / Print
সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় আলোচিত রাজনা হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে তার আপন চাচাতো ভাই ও চাচীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন,পাথারিয়া গ্রামের সিজিল মিয়ার স্ত্রী আইরুন নেছা (৫২) ও ছেলে মোঃ সালমান মিয়া (২৪)। বুধবার(২৬ জুলাই) রাত ৯টায় শান্তিগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল তাদের আটক করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন শান্তিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ খালেদ চৌধুরী।
গত শনিবার ২২ জুলাই সন্ধ্যায় শিক্ষার্থী রাজনার বস্তাবন্দি লাশ তাদের পাশের গ্রাম শরীফপুর তালুকদার বাড়ী সংলগ্ন সড়কের পাশে থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। রাজনা বেগম পাথারিয়া গ্রামের ইসরাইল মিয়ার মেয়ে এবং স্থানীয় সুরমা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল। এ
ঘটনায় গত ২৩ জুলাই নিহত রাজনা বেগমের পিতা ইসরাইল মিয়া নিজে বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে শান্তিগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওসি জানান,আলোচিত স্কুলছাত্রী হত্যার রহস্য উদঘাটনে প্রাথমিকভাবে হত্যার সাথে জড়িত অনেকের সংশ্লিষ্টতার আলামত পাওয়া যায়।
তারই প্রেক্ষিতে বুধবার রাতে পুলিশ নিহতের চাচাতো ভাই সালমান ও তার মা আইরুন নেছাকে সন্দেহ হলে তাদের দুজনকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ।
বিভিন্ন আলামত পর্যালোচনা করে গ্রেপ্তারকৃত মা ও ছেলেকে বস্তাবন্দি স্কুল ছাত্রী রাজনা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
এর আগে স্থানীয় ইউপি সদস্য নিহত রাজনার চাচাত ভাই আব্দুর রাজ্জাককে জড়িত সন্দেহে থানা পুলিশ আটক করে। পরে থানা হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাককে পাথারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলামের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ খালেদ চৌধুরী জানান,চাঞ্চল্যকর স্কুল ছাত্রী হত্যার ঘটনার রহস্য উদঘাটনে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে নিহত রাজনা বেগমের চাচাতো ভাই ও চাচীকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার আরো রহস্য উদঘাটনে গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের রিমান্ডের আবেদন করা হবে। আশা করি দ্রুত এই হত্যাকান্ডের সাথে কে বা কারা জড়িত ও হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হব।