২০২৩-০৭-০৮ ১১:৫৩:৪৯ / Print
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বৌলাই নদীতে পর্যটক পরিবহনকারী নৌকায় বিদুৎপৃষ্ট হয়ে নিখোঁজ জানে আলম জেন্টুর (৪০)লাশ ঘটনার তিন ঘন্টা পর উদ্ধার করেছে সুনামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
নিহত জানে আলম উপজেলার সদর ইউনিয়ন উজান তাহিরপুর গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে। তার দু ছেলে দু মেয়ে রয়েছে। এঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আজ শনিবার দুপুর ৩ টা ২০ মিনিটে ঘটনাস্থল থেকেই লাশ উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
এর পূর্বে শনিবার দুপুরে ১২টায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের রতনশ্রী ও গোবিন্দশ্রী গ্রামের মাঝে বৌলাই নদীটির ওপর আড়াআড়ি ভাবে টানা পল্লী বিদ্যুতের তারে লেগে নদীতে নিখোঁজ হন জেন্টু। এই ঘটনায় বিদুৎ পৃষ্ট হয়ে মোঃ নুর আলম(৩০), ইয়াজুল হক(৫৬), উসাস মিয়া(২০) জন আহত হয়েছেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
নৌকায় থাকা প্রতক্ষদর্শী মোঃ নুর আলম জানান,উপজেলার সদর ইউনিয়ন ইউনিয়নের আখুঞ্জি বাড়ির সামনে পর্যটক পরিবহনকারী নতুন একটি নৌকা তৈরী করে প্রায় শেষ করে।
সকালে জানে আলম জেন্টু সহ ৫-৬জন নতুন নৌকা তৈরী করে মেশিল লাগিয়ে পরীক্ষা করার জন্য বৌলাই নদী দিয়ে গোবিন্দশ্রী গ্রামের দিকে যায়।
পরে আবারও তাহিরপুর সদরের দিকে আসার পথে নৌকার উপরে ছিল জানে আলম জিন্টু এ সময় বৌলাই নদীর উপর দিয়ে টানানো পল্লী বিদ্যুৎতের ঝুলে থাকা তারে বিদ্যুৎ পৃষ্ট হয়ে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন।
এসময় মো. নুর আলম(৩০), ইয়াজুল হক(৫৬), উসাস মিয়া(২০) আহত হয়েছেন। গুরুত্বর আহত তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন জানান,ঘটনাটি খুবেই দুঃখ জনক।
ডুবুরি দল এসে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে নিখোঁজ জানে আলম জেন্টুর লাশ ঘটনাস্থল থেকেই উদ্ধার করে।
তাহিরপুর পুলিশ সার্কেল শাহিদুর রহমান জানান,নিখোঁজ জানে আলম এর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা জানান,ঘটনার পর থেকে উপজেলা প্রশাসন,পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও গ্রামবাসী মিলে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে ঘটনা তিন ঘটনা পরে নিখোঁজ ব্যক্তিকে উদ্ধার করা।