২০২৩-০৭-০৩ ১২:৫৭:৩৪ / Print
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসন বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত টাঙ্গুয়ার হাওর, নিলাদ্রী লেকসহ বিভিন্ন পর্যটন এলাকায় পর্যটকদের না আসতে অনুরোধ করেছে।
টানা ছয় দিনের বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হয়েছে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার ৯ উপজেলা। এতে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট এবং সুনামগঞ্জ সদর, ছাতক, দোয়ারাবাজার ও তাহিরপুর উপজেলার কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।
অনেক স্থানে রাস্তা ডুবে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন পানিবন্দী মানুষেরা। স্থানীয়রা বলেন, গত বছরের ভয়াবহ বন্যার সময় বৃষ্টি ও ঢলের আতঙ্ক তাদের এখনো তাড়া করছে।
এদিকে, সিলেটের প্রধান নদী সুরমা-কুশিয়ারাসহ বিভিন্ন নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ভারতের বরাক নদী দিয়ে আসা ঢলে সীমান্ত উপজেলা কানাইঘাটে সুরমার পানি আরও বেড়েছে। তবে কানাইঘাটে সুরমা বিপৎসীমার দশমিক ৮৫ সেন্টিমিটার,সিলেটে দশমিক ৬২ সেন্টিমিটার, নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কানাইঘটে ৭৮ মিলিমিটার ও সিলেটে ৩১৫ মিলিমিটার, সুনামগঞ্জে ১৭০ মিলিমিটার, ছাতকে ২১৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, পানিবন্দীদের উদ্ধারের জন্য সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
বন্যা মোকাবিলায় ৪৪৯ মেট্রিক টন চাল, ২২ লাখ টাকা ও দুই হাজার কেজি শুকনা খাবার মজুত রাখা হয়েছে। অন্যদিকে সিলেটের সাদাপাথর এলাকায় নিখোঁজ পর্যটক আবদুস সালামের (২৩) সন্ধান ২০ ঘণ্টায়ও পাওয়া যায়নি।
রোববার (২ জুলাই) বেলা আড়াইটার দিকে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হন সালাম। নিখোঁজ সালাম রাজধানীর মিরপুর-১১ এর মৃত আবুল কালামের ছেলে।
সালামের সঙ্গে বেড়াতে আসা শাহীন জানান, মিরপুর থেকে তারা ৬ জন সাদাপাথর বেড়াতে এসেছিলেন। সেখানে সাঁতার কাটতে গিয়ে প্রবল স্রোতে টানে আবদুস সালাম নিখোঁজ হন।
সোমবার বিকাল পর্যন্ত আবদুস সালামকে উদ্ধারে উপজেলা প্রশাসন, থানাপুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা চেষ্টা চালায়। এখনো তার খোঁজ পাওয়া যায়নি।