
২০২৩-০৫-২৭ ২৩:০৭:৪২ / Print
সবাই যখন, একদিকে হাটছে, ঠিক তখনই ব্যতিক্রম কিছু করে দেখাতে চান ডা. ইসমাত জাহান। যেখানে কথা বললেই সিজার, সেখানে নিজেকে তুলে ধরেছেন অন্য উচ্চতায়।
চা বাগান ও হাওর পাড়ের দরিদ্র ও দিনমজুর পরিবারের গর্ভবর্তী মায়েদের মাতৃত্বকালীন চিকিৎসা সেবায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের গাইনী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. ইসমাত জাহান।
ইতিমধ্যে তিনি মৌলভীবাজারেই প্রায় ১০ হাজার মায়ের নরমাল ডেলিভারি করেছেন। এর মধ্যে অধিকাংশ চা বাগান ও হাওর পারের দরিদ্র ও দিনমজুর পরিবারের মায়েরা।
জানা যায়, ২০১৪ সাল থেকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে গাইনী চিকিৎসক হিসেবে যোগদান করেন ডাঃ ইসমাত জাহান। এ পর্যন্ত উনার আন্তরিকতায় সরকারী এবং প্রাইভেট হাসপাতাল মিলে প্রায় ১০ হাজার নরমাল ডেলিভারী হয়েছে।
নরমাল ডেলিভারীর মধ্যে বেশীরভাগ চা শ্রমিক জনগোষ্ঠী ও হাওর পারের দারিদ্র পরিবারের মায়েরা রয়েছেন। এছাড়াও এই হাসপাতালের আরেক গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাঃ ফারজানা হক পর্ণা প্রসুতি মায়েদের নরমাল ডেলিভারি দিতে সর্বাত্মক চেষ্টা করেন।
ডাঃ ইসমাত জাহান বলেন, একজন মায়ের পূর্বে দুইটা সিজার হয়েছে কিন্তু চলতি মাসে চেষ্টা করে নরমাল ডেলিভারী করেছি। একই অবস্থা ছিল আরেক মায়ের তার পূর্বে ১টা সিজার হয়েছে কিন্তু আমি চেষ্টা করে চলতি মাসেই নরমাল ডেলিভারী করেছি।
এতে উভয় পরিবারের সদস্যরা অনেক খুশি হয়েছেন।
মৌলভীবাজারের একটি প্রাইভেট হাসপাতালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর বলেন, আমরা প্রতিদিন অনেক গাইনী চিকিৎসকের সাথে প্রসূতি মায়েদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যোগাযোগ করি।
কিন্তু ডাঃ্. ইসমাত জাহানের মতো আন্তরিক ও বিনয়ী চিকিৎসক কম পেয়েছি। তিনি সর্বদা নরমাল ডেলিভারী করার চেষ্টা করেন।
বিশেষ করে গরীব রোগীদের আন্তরিকতার সাথে চিকিৎসা দেন তিনি।
ডাঃ ইসমাত জাহান আরো বলেন, আমার নৈতিক দায়িত্ববোধ থেকেই আমি নরমাল ডেলিভারীর চেষ্টা করি।
মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. বিনেন্দু ভৌমিক বলেন, আমাদের হাসপাতালের ডা. ইসমাত জাহান সহ সকল গাইনী চিকিৎসকরা আন্তরিকতার সাথে নিজ নিজ দ্বায়িত্ব পালন করেন। তবে ডা. ইসমাত জাহান ব্যতিক্রম কিছু করার চেষ্টা করেন।