২০২৩-০৫-০৯ ০১:১৩:০৪ / Print
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় চাঞ্চল্যকর শাকিব রহমান হত্যাকাণ্ডে জড়িত কারাগারে থাকা তিন আসামির তিন দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
কারাগারে থাকা আসামিরা হলেন,উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের ঘাগটিয়া বাঁশপাড়া গ্রামের মৃত সাদেক আলী তালুকদারের ছেলে মোশাহিদ তালুকদার,একই গ্রামের মৃত হাদিছ তালুকদার ওরফে খলিফা তালুকদারের ছেলে পটল তালুকদার,পার্শ্ববর্তী পুর্বদৈল(গড়কাটি) গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে বুলবুল আহমদ।
সোমবার(০৮ মে) দুপুরে আমল গ্রহণকারী আদালত তাহিরপুর এ বাদী ও বিবাদী উভয়পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষে আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ফারহান সাদিক তিন আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্তকারী অফিসার তাহিরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত)মোঃ কাওছার আলম জানান,আসামিদের ৫ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদালতের আদেশ পেলেই কারাগার থেকে তিন আসামিকে তাহিরপুর থানায় রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে।
তাহিরপুর থানার ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন জানান,নিহত শাকিব রহমানের পিতা উপজেলার ঘাগটিয়া টেকেরগাঁও গ্রামের মুজিবুর রহমান ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার দিবাগত রাতেই মোশারফসহ ১০জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৫-৬জনকে অভিযুক্ত করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরও জানান,ঘটনার পর থেকে আসামিরা ঘা ডাকা দিলে পুলিশ ও র্যাব তিনজনকে আটক করে জেল হাজতে পাঠায়। বাকী আসামীদের গ্রফতারে অভিযান চলছে।
এদিকে,মামলার প্রধান আসামি মোশারফ হোসেনসহ চার আসামি চার সপ্তাহের জন্য উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়েছেন। অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ,পূর্ব বিরোধের জের ধরে গত ২৪ শে এপ্রিল সোমবার রাতে উপজেলার ঘাগটিয়া চক বাজারের ছোট ব্রীজ থেকে ঘাগটিয়া টেকেরগাঁও গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে শাকিব রহমানকে গ্রামের
বাঁশপাড়া গ্রামের প্রভাবশালী উপজেলা আ,লীগের সহসভাপতি ও বড়ছড়া কয়লা আমদানি কারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন তালুকদারের লোকজন অপহরণ করে তার বাড়িতে আটকে রেখে
রাতভর নির্যাতন কর দুই হাত, দুই পা ভেঙে নৃশংস ভাবে খুন করে। সাকিবের বাবা ছেলে বাঁচাতে গেলে নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রান নিয়ে ফিরে আসে।
এরপর রাতে পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দা ঘটনা জেনে ফেলায় লাশ গুমের চেষ্টা থেকে সড়ে এসে চিকিৎসার অজুহাতে মোশাররফ হোসেন তালুকদারের নির্দেশে বুলবুল ও তার দুই সহযোগীকে দিয়ে প্রথমে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরবর্তীতে মঙ্গলবার
ভোররাতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে ফেলে রেখে বুলবুল ও তার সঙ্গে থাকা অপর দুই সহযোগী পালিয়ে আসে।
এমন হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি বিভিন্ন প্রিন্ট,ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া,এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশিত হলে সারা দেশব্যাপী নিন্দা,প্রতিবাদ ও ক্ষোভের ঝড় উঠে।