২০২৩-০৪-২৭ ০১:১৬:৩০ / Print
মঙ্গলবার এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোশারফ হোসেন তালুকদারকে প্রধান আসামী করা হয়েছে।
মামলায় ১০জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরো ৪-৫কে আসামী করা হয়েছে।
মঙ্গলবার(২৫এপ্রিল)রাতে নিহতের পিতা মজিবুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন।
মামলার আসামীরা হলেন উপজেলার ঘাগটিয়া গ্রামের মৃত সাদেক তালুকদারের ছেলে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোশাররফ হোসেন তালুকদার(৭০),মোশারফের ছোট ভাই মহিনুর তালুকদার(৫০),মোশাহিদ তালুকদার (৪৫),
মোশারফের ছেলে মোনায়েম হোসেন রাজু(৩২),একই গ্রামের মোশারফের ফুফাতো ভাই নুরুজ আলী(৫৫),তার ছেলে কাহার মিয়া(৩৮) ও একই গ্রামের রাফি(২৯),শিপলু মিয়া(২৬)সহ ১০ জন ও অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জন।
নৃশংস এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শুনসান নিরাবতা বিরাজ করছে ঘাগটিয়া গ্রামটিতে। সাকিবের মৃত্যুর পর থেকেই বাড়ি ঘর তালা দিয়ে পালিয়েছে খুনিরা।
স্থানীয় এলাকাবাসী নির্মম এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তারা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউই মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। তবে এলাকাবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোব বিরাজ করছে।
এদিকে সরেজমিনে অভিযুক্ত মোশারফের বাড়িতে গেলে সেখানে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি এবং ঘরবাড়ি তালা অবস্থায় দেখা গেছে।
নিহতের বাবা মুজিবুর জানান,আমার ছেলেকে এর পূর্বে প্রাননাশের চেষ্টা করপছিল। সবাই তা জানে। আমি আমার ছেলের জীবন ভিক্ষা চেয়েও হাতে পায়ে ধরেছি কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।
এবার আমার ছেলে মোশারফ হোসেন ও তার ভাই,ছেলেসহ ১০-১২ জন মিলে হাত পা ভেঙে নৃশংস ভাবে হত্যা করে লাশ গুম করতে চেয়েছিল। কিন্তু পারে নি। আমি আমার ছেলের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী জানাই। যাতে করে কোনো পিতাকে এমন নৃশংস হত্যার দৃশ্য দেখতে না হয়।
তাহিরপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ ইফতেখার হোসেন জানান,প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে ওই যুবককে পিটিয়ে চার হাত-পা ভেঙে নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে।
এঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন নিহতের বাবা। মামলায় আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।