২০২৩-০৩-০৪ ১৩:২৩:৫২ / Print
বাঁধের কাজে কেউ যদি কোনো অনিয়ম কিংবা দূর্নীতি করে তাহলে তাকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় আনা হবে। কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
বাঁধ রক্ষায় সরকারের সার্বক্ষণিক নজরদারি আছে। হাওরের এক ফসলী বোরো ধান কেটে কৃষকরা ঘরে তুলতে পারেন সরকার সে ধরনের ব্যবস্থা আগেই নিয়েছে বলে জানান,পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল হাসান।
শনিবার (৪মার্চ) দুপুরে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টাকাটুকিয়া এলাকায় নির্মিত বাঁধ পরিদর্শন করে এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, আশা করছি আগামী ৭ মার্চের মধ্যে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শেষ হয়ে যাবে। এ জেলায় এ বছর ১ হাজার ৭৮ টি পিআইসির মাধ্যমে হাওর এলাকায় বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে।
প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ ধান উৎপন্ন হয় হাওরাঞ্চলে। তাই সুনামগঞ্জে ফসল রক্ষা বাঁধের তদারকির জন্য পানি মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ও সিনিয়র সহকারী সচিবদের নিয়ে ৯সদস্য বিশিষ্ট্য ৩টি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তারা সুনামগঞ্জের ফসল রক্ষা বাঁধের উপর সার্বক্ষণিক নজর দারি রাখছেন। এর পূর্ব জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার করচার হাওর ও জামালগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েকটি হাওরের ফসল রক্ষা বাধ পরিদর্শন করেন।
সচিব নাজমুল আহসান আরও বলেন,হাওর এলাকার ফসল রক্ষা করার জন্য বাঁধ নির্মাণ করা হয়। নীতিমালা অনুসারে কাজ করলে বাঁধের কোনো ক্ষতি হবে না।
তাই বাঁধ নির্মাণের বিষয়ে কোনো আপোষ হবে না। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী,
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার নির্বাহী প্রকৌশলী সাদিউর রাহিম জাদিদ, এসিল্যান্ড আসাদুজ্জামান রনি,
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার এসিল্যান্ড শিল্পী রানী মোদক, তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুনাব আলী এবং সিলেট ও সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।