২০২৩-০২-২৮ ০৪:৫৭:০২ / Print
সুনামগঞ্জে স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে স্বামীর মৃত্যুদন্ড ও ধর্ষণের অভিযোগে পৃথক আরো ২ মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাব্যুনাল।
মঙ্গলবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জাকির হোসেন এ রায় দেন। স্ত্রী হত্যায় মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত বিনয় রায় ও ধর্ষন মামলায় সমছু মিয়া ও আবিদ হোসেন রিমনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আদালত সুত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে সুনামগঞ্জের মধ্যেনগর উপজেলার বিনয় রায়ের সাথে ময়না রায়ের বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী বিনয় রায় যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন করতে থাকে।
২০১৪ সালের ৩০ জুলাই যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে মারপিট করলে আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই ময়নার মৃত্যু। এ ঘটনায় তার বোন বাদী মামলা করেন।
মামলার দীর্ঘ বিচারকার্য শেষে আসামি বিনয় রায়কে মৃত্যুদন্ড দেন আদালত। এসময় আসামি বিনয় রায় আদালত উপস্থিত ছিলেন
। এদিকে একই সময় আদালত ধর্ষণের অভিযোগে আরো দুটি পৃথক মামলায় ২ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন একই আদালত। মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি আসামি আবিদ হোসেন রিমন ৮ বছরের এক শিশুকে বাড়িতে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ
করে আহত অবস্থায় ফেলে যায়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হলে আদালত বিচারকার্য শেষে আসামি আবিদ হোসেন রিমনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
একইভাবে দোয়ারাবাজার উপজেলায় ২০১৪ সালে মা মেয়ে বাড়িতে ফেরার সময় সন্ধ্যায় জোরপূর্বক ধর্ষণের মামলায় আসামি সমছু মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন একই আদালত।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর নান্টু রায়, আদালতে আজ ন্যায় বিচার প্রতিষ্টিত হয়েছে। অপরাধ করে পার পাওয়া যায়না।
দৃষ্টান্তমূলক এ রায়ের ফলে ধর্ষণের ঘটনা কমে আসবে বলে জানান তিনি।