ভবিষ্যতে সংগঠন,স্বার্থ পরিপন্থী কার্যক্রম, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার লিখিত আবেদনের শর্তে সুনামগঞ্জের আওয়ামী লীগের আলোচিত তিন নেতার অব্যাহতি প্রত্যাহার করা হয়েছে।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের স্বাক্ষরিত দলীয় পেডে এই অব্যাহতি প্রত্যাহারের আদেশ দেন। এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তাহিরপুর উপজেলার বালিজুরী ইউনিয়ন আ,লীগের সদস্য ও বর্তমান চেয়ারম্যান আজাদ হোসাইন।
তারা হলেন,সুনামগঞ্জ জেলা আ,লীগের সদ্য ঘোষিত সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট, দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র মোশাররফ মিয়া ও তাহিরপুর উপজেলার বালিজুরী ইউনিয়ন আওঅগের সদস্য ও বর্তমান চেয়ারম্যান আজাদ হোসাইন।
তারা জেলা পরিষদ,উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন করার অপরাধে তাদের দলীয় পদ থেকে অব্যহতি দেয়া হয়। তাদের অব্যাহতি প্রত্যাহার করায় আওয়ামীলীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ র্শীষ নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন।
এর পূর্বে ঐ তিন নেতা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দলীয় নিদের্শনা ভেঙে দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচন করেন নুরুল হুদা মুকুট। এবং বিজয়ী হন। দিরাই পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে মোশারফ মিয়া নির্বাচন করেন এবং পরাজিত হন।
\ও আজাদ হোসাইন জেলার তাহিরপুর উপজেলার বালিজুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে দলীয় বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেন।
তিনি বিপুল ভোট নির্বাচিত হয়েছেন। ঐ পত্রে লেখা আছে, ১৭ ডিসেম্বর গনভবনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংগঠনের গঠনতন্ত্রের ১৭(৬)এবং ৪৭(২) ধারা মোতাবেক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নিকট সাধারণ ক্ষমা প্রার্থনা করে আপনার
প্রেরিত ও লিখিত আবেদন পর্যালোচনা ও ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী কর্মকাণ্ড ও শৃংখলা ভঙ্গ না করার স্বার্থে। আপনার প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করা হয়েছে।
ভবিষ্যতে কোনে প্রকার সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত হলে ক্ষমার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। এর অনুলিপি,,আ,লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন,জেলা সভাপতি নুরুল হুদা মুকুট ও সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিনকে দেওয়া হয়েছে।
