কয়েক দফা সম্মেলনের তারিখ পেছানোর পর অবশেষে আগামী ১১ই ফেব্রুয়ারি হচ্ছে সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। ওইদিন সরকারি জুবিলি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
প্রায় আট বছর পর জেলা আ,লীগের সম্মেলনকে ঘিরে জেলা আ,লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনা দেখা দিয়েছে।
এছাড়াও জেলা আ,লীগের নেতৃত্বে থাকা তৃনমুল আ,লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে প্রিয় নেতার পদ পাওয়া না পাওয়া নিয়ে আলোচনা চলছে।
এদিকে,সম্মেলনের তারিখ চূড়ান্ত করেই জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুটি পদ পেতে আগ্রহী নেতারা ঢাকায় অবস্থান করছেন। কেউ কেউ সুযোগ খোঁজছেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাতের।
অন্যদিকে,গুরুত্বপূর্ণ সভাপতি ও সম্পাদক এই দুই পদে জেলার ত্যাগী,দলের দূসময়ে হামলা মামলা ও নির্যাতিত ১৪ নেতার নাম আলোচনায় উঠে আসছে।
তৃনমুল আ,লীগের নেতাকর্মী সমর্থকরা বলেন, জেলায় জনবান্ধব,কর্মীবান্ধব নেতৃত্ব প্রয়োজন। দলের স্বার্থে যে কোন পরিস্থিতি এগিয়ে এসে ঐক্যবদ্ধ করে কাজ করতে পারে এমন নেতা প্রয়োজন।
বর্তমান কমিটির অনেকেই মারা গেছেন। যোগ্য পরিক্ষিত নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে দিলে দল আরও শক্তিশালী হবে।
দলীয় সুত্রে জানা যায়,সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ চূড়ান্ত করেছেন দলের কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীলরা। ১১ ফেব্রুয়ারি সরকারি জুবিলি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সম্মেলনের প্রধান অতিথি থাকবেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আরও জানাযায়,গত ২০১৬ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারি জুবিলী স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জ জেলা আ,লীগের সম্মেলনে সভাপতি মতিউর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন নাম ঘোষণা করা হয়।
পরে ২০১৭ সালের ২২ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছিল।
যাদের নাম শুনা যাচ্ছে তারা হলেন,সভাপতি পদে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি,
জেলা আ,লীগের বর্তমান সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য মতিউর রহমান,সংসদ সদস্য জেলা আ,লীগের সহ সভাপতি মুহিবুর রহমান মানিক এমপি, আওয়া
মীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আজিজুস সামাদ ডন,
জেলা আ,লীগের সিনিয়র সহসভাপতি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট,বর্তমান যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড. নান্টু রায়, যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড. হায়দার চৌধুরী লিটনের নাম রয়েছে আলোচনায়।
সাধারণ সম্পাদক পদে যাদের নাম শুনা যাচ্ছে তারা হলেন,বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন,সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত,
জেলা আ,লীগের বর্তমান সহ-সভাপতি নোমান বখত পলিন,জেলা আ,লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল,সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান,জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল হুদা চপল,বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক জুনেদ আহমদ,
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাড. আক্তারুজ্জামান সেলিমের নাম কর্মীদের আলোচনায়।
জেলা আ,লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন,
আমি ও আমার পরিবার আ,লীগ পরিবার। দলের জন্য নির্যাতন নিপীড়ন মামলা হামলার শিকার হয়েছি। দলের জন্য কাজ করছি। দলীয় প্রধান আমাকে দায়িত্ব দিলে মাথা পেতে নিব এবং দলের জন্য কাজ করে যাব।
আ,লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আজিজুস সামাদ ডন বলেন,দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।
আ,লীগের নেতা কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রাখতে পারেন এমন নেতৃত্ব প্রয়োজন। আমি চাই জেলা আ,লীগ শক্তিশালী হোক। অতীতের ভুল ত্রুটি থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামীর নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে। দলের নেত্রী আমাকে দায়িত্ব দিলে মাথা পেতে নেব।
জেলা আ,লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন বলেন,সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কে হবেন সে সিদ্ধান্ত দলীয় প্রধান,কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীলরা জানেনা। প্রায় আট বছর দলীয় প্রধান
বঙ্গবন্ধু কন্যার দেওয়া দায়িত্বকে আমানত মনে করেই জেলার প্রত্যেক স্তরের কর্মীদের সক্রিয় রাখার চেষ্টা করেই দলের দায়িত্ব পালন করেছি। ১১ই ফেব্রয়ারি সম্মেলনের তারিখ চূড়ান্ত,এখন সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছি।
সম্মেলন সফল করতে সকল নেতা কর্মীদের
কাজ করার আহ্বান জানিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান বলেন,
সম্মেলনের তারিখ নিধারন করা হয়েছে আমরা আয়োজন করেছি। সম্মেলনের পোস্টার তৈরীসহ অন্যান্য সকল কাজই শেষ পর্যায়ে।