গত কয়েকদিন ধরে সুনামগঞ্জ জেঁকে বসা তীব্র শীতে জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পরেছে। একে ত রৌদের তাপমাত্রা একে বারেই কম তার মধ্যে উত্তরের হিমেল হাওয়া শীতের তীব্রতার সাথে তাল মিলিয়েছে।
দিনের বেলা কিছু টা সহ্য করে চলাচল করতে পারলেও রাতের বেলা শীতের তীব্রতা বেড়ে যায়।
ফলে শীতে কাবু নিম্ন আয়ের মানুষ। এছাড়াও ভরা বোরো মৌসুমে হঠাৎ জেঁকে বসা তীব্র শীতে হাওরে বোরো ধানের চারা রোপণ করতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছ কৃষক ও শ্রমিকরা। নিম্ন আয়ের মানুষ কাজে বের হতে পারছেন না।
গত সোমবার থেকে জেলার ১২টি উপজেলায় হাড় কাঁপানো শীতে কম্পমান প্রত্যন্ত জনপদ গুলো। এছাড়াও জেলার সীমান্ত এলাকায় শীতের তীব্র তা বেশি দেখা গেছে।
শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই খড়কুটোতে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে। অনেকেই গরম কাপড় কিনছেন। আর নিন্ম আয়ের মানুষ ফুটপাতে দোকান থেকে শীত নিবারনের জন্য সোয়েটার,
জ্যাকেট,মাফলাট কিনতে দেখা গেছে। অনেকেই পুরনো শীতের কাপর পরেই শীত নিবারনের চেষ্টা করছে।
প্রকৃতির বৈরী আবহাওয়ার কারণে বিশেষ করে ভরা বোরো মৌসুমের সময়ে হাওরবেষ্টিত সুনামগঞ্জের টাংগুয়ার,দেখার হাওর,মাটিয়ান,শনি,পাকনার হাওর,করচার হাওর,
ছায়ার হাওর,হালির হাওর,নলুয়ার হাওরসহ জেলার বিভিন্ন হাওরে কৃষি শ্রমিকরা কাজে নামার পরিমান কম। বেশি টাকা দিয়েও শ্রমিক পাওয়া কঠিন হয়প পড়েছে।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার খরচার হাওরপাড়ের কৃষক ফরিদ মিয়া জানান,গত সাপ্তাহ ধরে
শীত বেড়ে যাওয়ায় বেশি টাকা দিয়েও বোরো জমিনে কাজের জন্য শ্রমিক পাওয়া কষ্ট হচ্ছে। ফলে বোরো চাষাবাদে সাময়িক কষ্ট হচ্ছে।
তাহিরপুর উপজেলার টাংগুয়ার হাওরে পাড়ের
বোরো চাষী ফজলুল করিম জানান, মেঘালয় পাহাড় ঘেষা হওয়ায় হাঁড় কাঁপানো শীতে জীবন জীবিকা নির্বাহ করা কঠিন হয়ে পরেছে।
শীতের কারনে বোরো জমিতে চারা রোপণ করতে পারছি না। এদিকে সময় মত জমি চাষ না করতে পারলে ফসল কাটার সময় কঠিন পরিস্থিতি শিকার হতে হবে।
শ্রমিক আমিনুল ইসলাম জানান,গত কয়েক দিন ধরে হাঁড় কাঁপানো শীতে ঘর থেকে বের হতেই কষ্ট হচ্ছিল। কাজে না গেলে ঘরে বসে থাকতে হবে খাবার যোগার করাও কঠিন হয়ে যাবে।
এরপরও এক দিন কাজে গিয়ে আর যাই নি কি করমু আগেত বাচতে হবে। শীত একটু কমলে আবারও কাজে যাবেন বলে জানান তিনি।
সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম জানান, চলতি বছর ২ লাখ ২২ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
হাওরে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বোরো জমিতে চারা রোপণে কৃষক ও শ্রমিকরা কষ্ট করেই তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।