ঝুকিপূর্ণ ছিফতখালী বেড়িবাঁধ কেটে জলমহালের পানি নিস্কাশন করায় হুমকির মুখে পড়েছে উপ্তিরপাড়,মৌখলা,ঠাকুরভোগ ও টাইলা গ্রামের কয়েক হাজার হেক্টর বোরো জমি।
এতে করে উপজেলায় সচেতন মহল চরম ক্ষোব বিরাজ করছে।
এমনি ঘটনা ঘটেছে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়ন ঝুকিপূর্ণ ছিফতখালী বেড়িবাঁধ।
স্থানীয় এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানাযায়, উপজেলার পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের সিফতখালির বাধেঁর বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত না করে রাতের আঁধারে কে বা কারা খুবই ঝুকিপূর্ণ একেবারে অক্ষত টেকসই ফসল রক্ষা বাঁধটি এসকেভেটর মেশিন লাগিয়ে প্রায় ৩০ফুট গভীর করে খালের মত কাড়া করে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করছে।
এই বাঁধ কাটার ফলে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত পানি নিস্কাশন করা হবে বলে জানান কাউয়ুজুরী গ্রামের কৃষক শেলু মিয়া। তিনি জানান,হাওরে গিয়ে অনেকের সাথে আলোচনা করেও বাঁধটি কে কেটে দিয়েছে কেই বলতে পারেন নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাঁধের পার্শবর্তী গ্রামের আরও একাধিক কৃষক জানান,এইভাবে অপরিকল্পিতভাবে এত ভাল টেকসই ঝুকিপূর্ণ বাঁধটি কেটে দেওয়ায় বৃষ্টি দিনে ফাল্গুন অথবা চৈত্র মাসে তড়িঘড়ি করে ঝুকিপূর্ণ বাঁধটি মেরামত করা হলে এই ভাবে টেকসই না হয়ে
বাঁধটি ঝুকিপূর্ণ থেকে যাবে। বিধায় প্রথম দাপে পানি আসার পর নতুন ভাবে বাঁধটি মেরামত করা হলে সহজেই ভেঙ্গে গিয়ে হাওর ডুবির সম্ভাবনা রয়েছে।
এ ব্যাপারে মরা মহাসিং নদী জলমহালের ইজারাদার জাবেদ নুর জানান,এই বাঁধটি আমরা কেটে দেইনি কে বা কারা কেটে দিয়েছে আমরা জানি না।
এ বিষয়ে উপজেলা পাঁচ কাইপনা জলমহালের ইজারাদার নুর মিয়ার মোবাইল ফোনে বারবার ফোন দেওয়ার পর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও মাহবুল আলম জানান,এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনোয়ার উজ জামান জানান,বাঁধ কাটার বিষয়ে কেউ আমাকে জানায়নি। যারা বাঁধটি কেটেছে তাদের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।