অঞ্চলের মানুষের অধিকারের প্রশ্নে কখনো আপস করিনি, আগামীতেও করব না,,বিরোধী দলীয় হুইপ
সুনামগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক,
সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও বিরোধী দলীয় হুইপ এডভোকেট. পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেছেন , এখানে আমার পূর্বপুরুষরা শুয়ে আছেন। আমারও কবর এখানেই হবে তাই এই অঞ্চলের মানুষের অধিকারের প্রশ্নে কখনো আপস করিনি,
আগামীতেও করব না। অনেকেই কুৎসা রটনা করেন আমি এসবে কান না দিয়ে এলাকার রাস্তাঘাট,স্কুল,কলেজ ব্রীজ কালভার্ড নির্মাণ করেছি।
রবিবার দুপুরে জাতীয় পার্টির ৩৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে জেলা শহরের ট্রাফিক পয়েন্টে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ধারারগাঁও ও হালুয়ারঘাটের সুরমা নদীতে ব্রীজ নির্মাণের জন্য সংসদে বার বার কথা বলায় ট্রেন্ডার আহবান করা হয়েছে এবং বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও উন্নয়নে বিশ্বাস করেন বলেই দ্রুত সমযের মধ্যে এই ব্রীজটি নির্মাণ করা হবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন তিনি।
যেকোন ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় সকল নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহবান জানিয়েছেন তিনি আরও বলেন,টাকা কামানোর জন্য সংসদ সদস্য নির্বাচিত হইনি। আমার বাসার দরজা এই আসনের মানুষের জন্য দিনরাত খোলা রয়েছে।
আমার এলাকার উন্নয়ন করেছি আর আগামীতেও করব আপনাদের সাথে নিয়ে।
জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি মরহুম আলহাজ্ব হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন। তিনি জনগনের জন্য কাজ করেছেন ব্যক্তির উন্নয়ন করেন নি।
তার এই আর্দশ নিয়ে এই এলাকার মানুষের ভাগ্য পরিবতর্নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে।
প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সুনামগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির উদ্যোগে সদর ও বিশ্বম্ভরপুর আসনের বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল এসে জেলা শহরের ট্রাফিক পয়েন্টে বিশাল সমাবেশে রুপ নেয়।
তিনি আরও বলেন,বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে সুনামগঞ্জ সদর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউপি নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে যারা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছিলেন অনেকেই ইতিমধ্যে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
কাজেই এই আসনের সাধারন মানুষ জাতীয় পার্টিকে ভালবাসেন বলেই বার বার আমাকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করায় তিনি সদর ও বিশ্বম্ভরপুর আসনের সর্বস্তরের জনসাধারনকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ আরও বলেন, বতর্মানে বোরো ফসল রক্ষার জন্য যে বেড়িবাঁধ নির্মাণ হচ্ছে, সেটা নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি করতে দেওয়া হবে না। কৃষকের বছরের একটিমাত্র ফসলের সুরক্ষার জন্য বাঁধের বরাদ্দের টাকা দিয়ে কারো পকেট ভারী করার সুযোগ দেওয়া হবে না। এখানে কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না। শতভাগ কাজ আদায় করা হবে।
জেলা জাতীয় সদস্য সচিব ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. মণির উদ্দিন মনিরের সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মো. সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদের সঞ্চালনায় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন,
জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ আলী খুসনুর,যুগ্ম আহবায়ক ও জাহাঙ্গীর নগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. রশিদ মিয়া,বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা জাতীয় পার্টির সহ সভাপতি আব্দুল কাদির,শান্তিগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব এরশাদ আহমদ,
পৌরসভার কাউন্সিলর পেয়ারা বেগম,জেলা মহিলা পার্টির সাধারন সম্পাদক ফরিদা বেগম, ,বাদাঘাট ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফারুক মিয়া,গৌরারং ইউপি চেয়ারম্যান শওকত আলী ও লক্ষণশ্রী ইউপি সদস্য মো. মহিনুর রহমান মহিম প্রমুখ।