ভরা বোরো মৌসুমে হঠাৎ জেঁকে বসা তীব্র শীতে কাবু নিম্ন আয়ের মানুষ। প্রকৃতি মেঘলা ভাব ও কুয়াশায় আচ্ছাদিত গত দু দিন ধরে সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চল।
ফলে রোদ না থাকায় সকাল থেকেই সন্ধ্যার পূর্বাবস্থা বিরাজ করছে প্রকৃতি জুড়ে। রোদ নেই বইছে মৃদু বাতাস ফলে নিম্ন আয়ের মানুষ কাজে বের হতে পারছেন না। এছাড়াও হাওরে বোরো ধানের চারা রোপণ করতে গিয়ে হিমসিম খাচ্ছ কৃষক ও শ্রমিকরা।
গত সোমবার থেকে প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রোদের দেখা মেলে ঘন্টা খানেক।
ফলে সুনামগঞ্জের ১২টি উপজেলায় হাড় কাঁপানো শীতে কম্পমান জেলার প্রত্যন্ত জনপদ। সোমবার সকালে হালকা বৃষ্টি হয়েছে। এরপর টান্ডা বাতাশ এরপর কমে গেলে শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকা।
জেলার সীমান্ত এলাকার শীতের তীব্র তা বেশি দেখা গেছে। অনেকেই খড়কুটোতে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছে। অনেকেই গরম কাপড় কিনছেন আবার নিন্ম আয়ের মানুষ ফুটপাতে দোকান থেকে শীত নিবারনের জন্য সোয়েটার,জ্যাকে কিনতে দেখা গেছে।
প্রকৃতির বৈরী আবহাওয়ার কারণে বিশেষ করে ভরা বোরো মৌসুমের সময়ে হাওরবেষ্টিত সুনামগঞ্জের জেলার টাংগুয়ার,দেখার হাওর,মাটিয়ান,শনি,
পাকনার হাওর,করচার হাওর,ছায়ার হাওর,হালির হাওর,নলুয়ার হাওরসহ বিভিন্ন হাওরে কৃষি শ্রমিকরা কাজে নামতে পারেনি।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার খরচার হাওরপাড়ের কৃষক সাকিব মিয়া জানান,শীত বেড়ে যাওয়ায় গত কয়েক দিন ধরে বেশি টাকা দিয়েও জমিনে কাজের জন্য শ্রমিক পাওয়া কষ্ট হচ্ছে। ফলে বোরো চাষাবাদে সাময়িক কষ্ট হচ্ছে।
তাহিরপুর উপজেলার টাংগুয়ার হাওরে পাড়ের
বোরো চাষী জাহিদ মিয়া জানান,গত কয়েক দিন ধরে হাঁড় কাঁপানো শীতে জীবন জীবিকা কষ্টের হয়ে গেছে। শীতে বোরো জমিতে চারা রোপণ করতে পারছিনা।
শ্রমিক আমিনুল ইসলাম জানান,গত কয়েক দিন ধরে হাঁড় কাঁপানো শীতে ঘর থেকে বের হতেই কষ্ট হচ্ছে। তাই কাজে এক দিন গিয়ে আর যাই না। শীত একটু কমলে আবারও কাজে যান না হলে না খেয়ে থাকতে হবে।
সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম জানান, চলতি বছর ২ লাখ ২২ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।
হাওরে শীতের তীব্রতায় বোরো জমিতে চারা রোপণে কৃষক ও শ্রমিকরা কষ্ট করেই তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।