দীর্ঘ দশ মাস বন্ধ থাকার পর ফের কয়লা আমদানি চালু হয়েছে বড়ছড়া শুল্ক ষ্টেশন দিয়ে।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তে বন্ধ থাকা তিনটি(বড়ছড়া,বাগলী ও চারাগাঁও)শুল্ক ষ্টেশন দিয়ে। শুল্ক স্টেশন বন্ধ থাকায় সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয় সেই সাথে চরম দুর্ভোগের শিকার হয় ২০ হাজার শ্রমিক ও ৫ শতাধিক ব্যবসায়ীগন।
আজ বুধবার সকাল ১১টায় উপজেলার বড়ছড়া এলসি পয়েন্ট দিয়ে আমদানি কার্যক্রম উদ্বোধন করেন, তাহিরপুর কয়লা আমদানি কারক গ্রুপের সভাপতি আলখাছ উদ্দিন খন্দকার,উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন খন্দকার লিটন,
আন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল
খায়ের,কোষাধ্যক্ষ জাহের আলী,সচিব রাজেস চক্রবর্তী,সদস্য হাসান মেম্বার,ব্যবসায়ী সংকর দাসসহ বিজিবি ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন। এসময় উৎসব মুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপ সূত্রে জানা যায়,বড়ছড়া,বাগলী ও চারাগাঁও শুল্ক স্টেশন দিয়ে নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকে ভারত থেকে কয়লা আমদানি শুরু হয়।
২০১৪ সালে ভারতের মেঘালয়ের একটি পরিবেশবাদী সংগঠনের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশগত ক্ষতির কথা বিবেচনা করে কয়লা রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেশটির ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। পরে টানা প্রায় সাত মাস বন্ধ থাকে কয়লা আমদানি।
এরপর পুনরায় আমদানি শুরু হলেও তা আর নিয়মিত হয়নি। চলতি বছরের মার্চ থেকে কয়লা আমদানি বন্ধ রয়েছে। গত প্রায় ১০মাস ধরে আমদানি বন্ধ থাকায় তারা অনেক ক্ষতির মুখে পড়েছেন শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা। সরকার ও কোটি কোটি টাকার রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে।
কয়লা আমদানি শুরুর সত্যতা নিশ্চিত করে
তাহিরপুর কয়লা আমদানিকারক গ্রুপ আন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের জানান,বছরে তিন-চার মাস চলে আমদানি আর ৮-৯ মাস বন্ধ থাকে।
অন্যদিকে, কয়লা আমদানি বন্ধ থাকায় প্রায় ২০হাজারের অধিক শ্রমিক বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। অনেকে এলাকা ছেড়ে কাজের সন্ধানে অন্যত্র চলে গেছেন। গত দশ মাস বন্ধ থাকায় আমরা ৫শতাধিক ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছিলাম চালু হওয়ায় ভাল লাগছে।
তাহিরপুর কয়লা আমদানি কারক গ্রুপের সভাপতি আলখাছ উদ্দিন খন্দকার বলেন,শুল্ক ষ্টেশন বন্ধ থাকলে সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব বঞ্চিত হয়।
রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে এবং শুল্ক ষ্টেশনের সাথে জড়িত শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের জীবন জীবিকার কথা বিবেচনা করে বড়ছড়া,বাগলী ও চারাগাঁও শুল্ক স্টেশন দিয়ে কয়লা আমদানি সারা বছর চালু থাকে তার জন্য সরকার যেন গুরুত্ব সহকারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবী জানাই।
রাজস্ব কর্মকর্তা বড়ছড়া আবুল হাসেম ভূঁইয়া জানান,এলসির মাধ্যমে কয়লা আমদানি শুরু হয়েছে।