তাহিরপুরে আপন বড় বোনের বেধরক মারধরের ঘটনায় আহত ছোট বোনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১০ডিসেম্বর) রাত পৌণে ১১টায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় আহত পলি আক্তার (১৮) এর মৃত্য হয়। এ ঘটনাটি ঘটেছে তাহিরপুর উপজেলার বালিজুরী ইউনিয়নের লোহাচুরা গ্রামের শান্তিপুর হাটিতে।
নিহতের লাশ ময়না তদন্ত শেষে নিজ গ্রামে পৌঁছানোর পর রাতে নামাজের জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
লোহাচুরা গ্রামের ইউপি সদস্য আলী নেওয়াজ সহ আরো অনেকেই জানান, ৬ ডিসেম্ভর মঙ্গলবার ছোট বোন পলি আক্তার(১৮) কে কবিরাজি চিকিৎসার জন্য বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামে মাওলানা বাহাউদ্দিন কবিরাজের নিকট নিয়ে যান বড় বোন হ্যাপি আক্তার (২৫)।
সেখান থেকে আসার পর তারা দু’বোনই অ-স্বাভাবিক হয়ে পড়ে। এবং বড় বোন হ্যাপী আক্তার তাকে বেধরক মারধর করা শুরু করে। এমতাবস্থায় ছোট বোন পলি আক্তার মারাত্মকভাবে আহত হয়। আহত পলি আক্তারকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ওখানেই চিকিৎসারত অবস্থায় শনিবার রাত পৌনে ১১টায় মারা যায়।
এ বিষয়ে মাওলানা বাহাউদ্দিন কবিরাজের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি নিজের বাড়িতে বসে রোগী আসলে ঝাড়ফুক দেই। পলি আক্তারকে তার বড় বোন হ্যাপি আক্তার নিয়ে আসে।
আমি তাহার সমস্যার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায় তার পেটে জ্বিন আছে এটি সরিয়ে দেয়ার জন্য। এ অবস্থায় আমি তাকে ঝাড়ফুক দিয়েছি। আমি তো জ্বিন তাড়াতে তাকে মারপিট করতে বলিনি।
তাহিরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, সিলেটের পুলিশ ময়না তদন্ত করাচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর ঘটনা সম্পর্কে অবগত হওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।