মামলা সংক্রান্ত জেরে গাছের সাথে বর্বরতা চালিয়েছে প্রতিপক্ষ লোকজন। আক্রোশে কেটে ফেলা হয়েছে বাগানের প্রায় ৬শতাধিক চারাগাছ। শনিবার দুপুরে উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের সীমান্ত সংলগ্ন ধীরেন্দ্র নগর গ্রামের কবর স্থানের পাশে ঘটনাটি ঘটে।
জমি নিয়ে মামলা সংক্রান্তের জের ধরে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার ধীরেন্দ্র নগর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য অমলা আক্তারের বাগানের প্রায় ৬শতাধিক দেশীয় চারাগাছ উপরে ও ভেঙ্গে দিয়েছে প্রতিপক্ষ একই গ্রামের হাজী আমিনুল ইসলাম ও তার ছেলেরা। অমলা আক্তার ও আমিনুল ইসলাম সম্পর্কে আপন চাচাতো ভাই বোন।
এ সময় অমলা আক্তার ও তার আত্নীয় স্বজন বাঁধা দিতে গেলে তাদেরকেও হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। ৃ
ইউপি সদস্য অমলা আক্তার জানান,পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত ১,২ নং ওয়ার্ডের সাবেক দুই বারের মহিলা মেম্বার অমলা আক্তার (৬৩)'র সাথে তারই আপন চাচাতো ভাই একই গ্রামের মৃত- আব্দুল জব্বারের ছেলে হাজী আমিনুল ইসলামের বিরোধী চলছিল। এমনকি আমিনুল ইসলাম ও তার ছেলেরা ইউপি সদস্য অমলা আক্তার ও তার পরিবারের লোকজনকে গ্রাম থেকে বিতাড়িত সহ বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও প্রান নাশের হুমকী-দামকি দেন। এ ঘটনায় ০৫/০৩/২০০৯ ইং তারিখে তাহিরপুর একটি জিডি করেন। থানার জি.ডি নং ১৫৪/০৯।
থানায় জিডি করার পর থেকে প্রতিপক্ষ আমিনুল ইসলাম ও তার ছেলেরা আরও উগ্র হয়ে উঠে। এরই জের ধরে গত ১৬ অক্টোবর রাতে আমিনুল ইসলাম ও তার তার ছেলে জহিরুল হক (জহির), আজিজুল হক, রেজাউল হক সজিব দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ
বীরেন্দ্র নগর কবরস্থানের পূর্ব পাশে অমলা আক্তারের পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ৫ শতক জায়গায় রোপনকৃত একাশিয়া (ইউক্লিপ্টার) ৫শতাধিক চারাগাছ কেটে ও উপরে ফেলে। এ সময় অমলা আক্তার বাঁধা দিতে চাইলে প্রাণনাশের ও হুমকি দেয় তারা।
পরে এ বিষয়ে অমলা আক্তার বাদী হয়ে আমিনুল ইসলাম ও তার তিন ছেলেকে আসামী করে গত ২৪ অক্টোবর সুনামগঞ্জ আদালতের একটি মামলা করে। এতে আরও উগ্র ও ক্ষিপ্ত হয়ে আমিনুল ইসলাম ও তার ছেলেরা (২৯ অক্টোবর) শনিবার দুপুরে প্রকাশেই স্থানীয় লোকজন ও অমলা আক্তার ও তার আত্নীয় স্বজনের সানে আরও ১০০ চারাগাছ উপরে ফেলে এবং তাদেরকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আমিনুল ইসলাম বলেন,অমলা আক্তারের সাথে আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে আদালতে ৩ টি মামলা আছে। এবং ওই জায়গা নিয়ে আদালতে ট্রাইব্যাল চলছে। তার পরেও অমলা আক্তার জোরপূর্বক ওই জায়গায় গাছ লাগাতে চাইছিল। আমি ও আমার ছেলেরা মামলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই জায়গায় গাছ লাগাতে নিষেধ করেছি। কোন গাছ উঠাইও নি কাটিও নি। পরে স্থানীয় মেম্বার ও পুলিশ এসে মামলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই জায়গায় গাছ লাগাতে নিষেধ করে।
এর সত্যতা নিশ্চিত করে উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড সদস্য শাজাহান খন্দকার বলেন, দুপুরেও নাকি আমিনুল ও তার ছেলে বাগানে গিয়ে বেশকিছু গাছে উপরে ফেলেছে।
তার( অমলা আক্তার) আমাকে জানিয়েছে। এনিয়ে কোর্টেও মামলা আছে তাদের দুজনের।
তাহিরপুর থানার ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, এখনো এ বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ নিয়ে আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।