২০২২-১০-১৮ ০৬:২১:৪৩ / Print
তিন মিনিটের ঝড়ে লন্ডভন্ড সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার তিনটি গ্রাম। র্ঝড়ে অর্ধশতাধিক বাড়িঘর,গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আহত হয়েছেন ২০ জন। সোমবার (১৭ অক্টোবর) দিবাগত মধ্যে রাতে শান্তিগঞ্জ উপজেলার দরগাপুর গ্রামে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব চলে। উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের দুর্গাপুর, আসামমোড়া ও শ্রীনাথপুর গ্রামের দুই শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হওয়ায় খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন মানুষ। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে ত্রাণ বিতরণ করেছে বলে জানা গেছে। খোঁজ নিয়ে জানাযায়,ঘুর্ণিঝড়ের কবলে সবকিছু লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়ে আছে শুধুই বিধস্ত ঘরবাড়ির চিত্র।
কোথায়ও গাছগাছালি ভেঙ্গে পড়ে আছে কোথাও বৈদ্যুতিক তার ঝুলে আছে। যেন এক বিধস্ত এলাকা। ঝড়ে অসহায় মানুষেরা ঘরবাড়ি হারিয়ে একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। খোলা আকাশের নিচেই আছেন তারা।
কেউ কেউ কান্না করছেন। আহাজারি করে বলছেন কষ্টের কথা৷ ঝড়ে শতাধিক ঘর বাড়ির টিনের চাল উড়িয়ে নিয়ে যায়। আবার কারও কারও মাটির বাড়ি ও বাড়ির প্রাচীর ঝড়ে ভেঙ্গে গেছে। এতে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তারা।
ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে ঘরের টিন আসবাবপত্র রক্ষা করতে গিয়ে আহত হয়েছেন ১৫-২০জন৷ অনেকেই এখন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। যারা কিছুটা স্বচ্ছল তারা ঘরবাড়ি মেরামতের চেষ্টা করছেন। সবমিলিয়ে বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন ওই এলাকার মানুষের।
সবাই এখন সরকারি সহায়তা আশায়। সিদ্দিকুর রহমান,রুহেনা খানম ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তরা বলেন, ঝড়ে আমার সব শেষ হয়ে গেছে। এখন আমি নিঃস্ব। ঘরে খাবার নাই, থাকার জায়গা নাই। এখন আমি পথের বিকারী৷
সরকারি সহায়তা না পেলে ছেলেমেয়ে নিয়ে রাস্তায় থাকতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুল হেকিম খান বলেন, হঠাৎ করে ঝড় শুরু হয়। এরপর ঝড়ের তান্ডবে সবকিছু উড়ে গেছে। ছেলেমেয়ে নিয়ে খোলা আকাশের নিচে আছি। সরকারের সহায়তা ছাড়া বাঁচা অসম্ভব।
পাথারিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম ও ক্ষতিগ্রস্তরা জানান,তিন মিনিটের ঝড়ে তাদের সব কিছু লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। দুই শতাধিক গাছপালা উপড়ে পড়েছে। ঝড়ে দুই শতাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মানুষের ঘরের চালের ঢেউটিন কাগজের মতো উড়ে গেছে। প্রতিটি কাঁচা বসতঘর লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।
শান্তিগঞ্জ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান নূর হোসেন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি ক্ষতিগ্রস্তদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর মেরামত করে শেষ রক্ষা হয়নি।
এমন ঘূর্ণিঝড়ে আবারো বাড়িঘর হারিয়ে নিঃস্ব তার। শান্তিগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার সখিনা আক্তার বলেন,ঝড়ে ২০ জন আহত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে শুকনো খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগী করা হবে।