শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ইংরেজী, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বাংলা ENG

শাল্লায় ধর্ষনের বিচার চাইতে গিয়ে আবারো ধর্ষিত কিশোরী, চেয়ারম্যান ও মেম্বার গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার, সুনামগঞ্জ

২০২২-০৯-৩০ ০৯:০৬:৫৫ /

সুনামগঞ্জ ধর্ষনের বিচার চেয়েছিলেন কিশোরী। চেয়ারম্যান ও মেম্বার মিলে বিষয়টা মীমাংসা করে দেবেন বলে কিশোরীকে আশ্বস্ত করেন।

তাদের কথামত কিশোরী বিচারের জন্য বাহারা ইউনিয়ন পরিষদে গেলে উল্টো শাল্লা উপজেলার বাহারা ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টু ও ইউপি মেম্বার দেবব্রত দাস মাতবর মিলে তাকে ধর্ষণ করেন।

এ ঘটনায় মামলা করেন ওই কিশোরী। শুক্রবার মামলার প্রধান আসামী সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টু ও ইউপি মেম্বার দেবব্রত দাস মাতবরকে গ্রেপ্তার করে শাল্লা থানা ও ডিবি পুলিশ।

বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জেলা শহরের পানসী রেস্টেুরেন্টের সামনে থেকে শাল্লা থানা পুলিশ ও ডিবির সদস্যরা মিলে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। ভুক্তভোগী কিশোরীর অভিযোগ ও স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়,উপজেলার বাহাড়া ইউনিয়নের বাহাড়া গ্রামের মলয় দাসের সঙ্গে ঐ কিশোরীর দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল ।

বিয়ে না করায় গত জানুয়ারিতে প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করে ওই কিশোরী। এতে প্রেমিক মলয় দাস দীর্ঘদিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্ত হয়ে অন্যত্র বিয়ের প্রস্তুতি নিলে ওই কিশোরী মলয়ের বাড়িতে অবস্থান নেয়।

পরে মলয়ের পরিবার বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টুকে জানায়। কিছুদিন পর চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টু মলয়ের বাড়ি গিয়ে বিষয়টি সমঝোতা করে দেওয়ার কথা বলে ওই কিশোরীকে রাতেই বাড়ি পাঠিয়ে দেন।

সকালে তাকে সালিশের কথা বলে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসেন। ঘটনার সময় পরিষদের অফিসের একটি কক্ষে নিয়ে ওই কিশোরীকে চেয়ারম্যান নান্টু ও তার পরিষদের মেম্বার দেবব্রত দাস মাতবর মিলে গণধর্ষণ করেন। পরে কোনো মতে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বের হয়ে ওই কিশোরী প্রাণভয়ে থানায় আশ্রয় নেয়।

তবে মামলা না নিতে পুলিশকে ম্যানেজ করার শত চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হয়নি মাদকসেবী চরিত্রহীন ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টু ও ইউপি মেম্বার দেবব্রত দাসের।

এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী ধর্ষন মামলার আসামী শাল্লার বাহারা ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল গত ১৫ই সেপ্টেম্বর সালিশের নামে কিশোরীকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের একটি কক্ষে নিয়ে নান্টু ও দেবব্রত দাস মিলে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় গত ১৬ই সেপ্টেম্বর ধর্ষিতা নিজে বাদি হয়ে বাহারা ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চৌধুরী নান্টুকে প্রধান আসামী করে পরিষদের ইউপি সদস্য দেবব্রত দাস ও প্রেমিক মলয় দাসসহ তিনজনকে আসামী করে শাল্লা থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ২ ।

এ জাতীয় আরো খবর

সুনামগঞ্জে ট্রাক  সিএনজি সংঘর্ষে একজন  নিহত

সুনামগঞ্জে ট্রাক সিএনজি সংঘর্ষে একজন নিহত

দিরাইয়ে শালিস না মেনে যুক্তরাজ্য প্রবাসীকে হয়রানির অভিযোগ

দিরাইয়ে শালিস না মেনে যুক্তরাজ্য প্রবাসীকে হয়রানির অভিযোগ

দিরাইয়ে বজ্রপাতে প্রাণ গেল দুই কৃষকের

দিরাইয়ে বজ্রপাতে প্রাণ গেল দুই কৃষকের

প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে শান্তিগঞ্জে সব ওলটপালট

প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে শান্তিগঞ্জে সব ওলটপালট

জগন্নাথপুরে কবরস্থান দখলের চেষ্টা: ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি

জগন্নাথপুরে কবরস্থান দখলের চেষ্টা: ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি

 সুনামগঞ্জের পাঁচটি আসনে বিজয়ী যারা

সুনামগঞ্জের পাঁচটি আসনে বিজয়ী যারা