২০২২-০৮-২১ ০৬:৩৮:০১ / Print
সুনামগঞ্জে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যা করায় স্বামী আবদুল্লাহকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায়ে খাসিদ আলী ও সৈয়দুন্নেসাকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
রোববার (২১ আগস্ট) দুপুরে এই রায় দেন সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মহিউদ্দিন মুরাদ। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আবদুল্লাহ পলাতক ছিলেন।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট খায়রুল কবির রুমেন। মামলা সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার জয়কলস গ্রামের আবদুল্লাহর সঙ্গে ২০০৩ সালের ৭ আগস্ট বিয়ে হয় একই গ্রামের শেফালি বেগমের।
সংসারে অভাবের কারণে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। আবদুল্লাহ একপর্যায়ে সৌদি আরব যাওয়ার জন্য এক লাখ টাকা দিতে শেফালী বেগমের পরিবারের কাছে যৌতুক দাবি করেন। টাকার জন্য প্রায়ই শেফালিকে চাপ দিতেন আবদুল্লাহ।
একই বছরের ২৭ অক্টোবর আবদুল্লাহ স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ বাড়ির পাশের আমগাছে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার করেন। এরপর পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত ও আলামত জব্দ করে।
লাশের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে শেফালির মা মালেকা বেগম বাদী হয়ে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় আবদুল্লাহ,তার বাবা খাসিদ আলী ও মা সৈয়দুন্নেসাকে আসামি করা হয়।
পুলিশ মামলা তদন্ত করে তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। রায়ে খাসিদ আলী ও সৈয়দুন্নেসাকে খালাস দেওয়া হয়েছে।