সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমীর ও উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতিসহ দুইজনকে দেশীয় আগ্নেয়ান্ত্রসহ আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার দুপুরে জামালগঞ্জ থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জামায়াতের আমীর হাবিবুর রহমানের কামলাবাজ গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে আটক করে।
আটককৃতরা হলেন,উপজেলা জামায়াতের আমীর মো.হাবিবুর রহমান। তিনি উপজেলার ভীমখালি ইউনিয়নের কামলাবাজ গ্রামের মৃত আকবর উল্ল্যাহ”র ছেলে অপরজন উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি শেখ মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম। তিনি উপজেলার সাচনা বাজার ইউনিয়নের সাচনা বাজার গ্রামের মৃত শেখ মোহাম্মদ মুজিবুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ জানায়,থানার অফিসার ইনচার্জ মীর মোহাম্মদ আব্দুন নাসেরের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা সরকারের বিরুদ্ধে গোপন মিটিং চলাকালে তাদের এই দুইজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এ সময় পুলিশ আমীরের বাড়ি থেকে জিহাদি অনেক বই লিফলেট এবং দেশীয় দাড়াঁলো অস্ত্র রামদা,চুলফি লাঠিসোটা উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় জামালগঞ্জ থানার এস আই মো. জুলহাস নিজে বাদি হয়ে সন্ত্রাস বিরোধী ২০১২(সংশোধন ১৩) এর ৬(২)(ই(ঈ)/১২ এর ধারায় উপজেলা জামায়াতের আমীর মো. হাবিবুর রহমান(৬০)কে প্রধান আসামী করে জামালগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অন্যান্যা আসামীরা হলেন,আটককৃত উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি শেখ মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম(৫০),পলাতক শাহপুর গ্রামের মৃত মো. আব্দুল বারীর ছেলে জামায়াত নেতা ফখরুল আলম চৌধুরী(৫০),মানিগাঁও গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে রুমেল(৩৪),ফেনারবাঁক গ্রামের মৃত আব্দুল মোমেনের ছেলে খাইরুল ইসলাম(৫০),তেলিয়া গ্রামের মৃত আজিজুর রহমানের ছেলেমো. আব্দুল মুহিত(৪৫),তেলিয়া নতুনপাড়া গ্রামের আব্দুল কদ্দুছের ছেলে মো. শফিক মিয়া(৩৫),শাহপুর গ্রামের মৃত আব্দুল ওয়াহিদের ছেলে সিরাজুল ইসলাম(৫৫),রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে শেরু আলম(৫০),তেলিয়া গ্রামের মৃত রজিম উল্ল্যাহ”র ছেলে লিয়াকত আলী(৫৫),শুকদেবপুর গ্রামের মাওলানা আব্দুল আওয়াল(৭০),নোয়াগাঁও গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম(৩০)। এছাড়াও মামলায় আরো ১০/১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে। জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মীর মোহাম্মদ আব্দুন নাসের এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।