শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও সম্পাদক বিদ্যালয়ের শিক্ষা ও সার্বিক উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার পরিবর্তে বিভিন্ন অজুহাতে তারা অনিয়ম করে চলেছেন।
এ অবস্থায় শিক্ষিকাদের কাছে থেকে ২০লাখ টাকা আত্মসাৎ, চাদাঁদাবী,অশালীন আচরন করাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের সভাপতি আবুল নুর আহমদ খান ও সাধারণ সম্পাদক অরবিন্দু দাশের বিরুদ্ধে।
এমন অভিযোগে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকাসহ ১৪জন সহকারী শিক্ষিকা সোমবার(১৮জুলাই) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হান কবিরের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছো। প্রধান শিক্ষক রিক্তা বেগম স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন তাহিরপুর উপজেলার ইউএনও।
লিখিত অভিযোগ উল্লেখ করা হয়, বিদ্যালয়ের সভাপতি আবুল নুর আহমদ খান ও সাধারণ সম্পাদক অরবিন্দু দাস বিদ্যালয়ের উন্নয়নের কথা বলে বিভিন্ন সময়ে ২০ লাখ টাকা নেন। কিন্তু বিদ্যালয়ের উন্নয়ন দূরের কথা বরং বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে স্কুল ড্রেস প্রদানের কথা বলে সাড়ে বার হাজার টাকা,ডাক্তারী পরীক্ষা বাবদ দশহাজার টাকা,সরকারী কম্বল ও ওয়াল্ড ভিশন থেকে দেওয়া কম্বল তারা আত্মসাৎ করেন।
এছাড়াও বিদ্যালয় নিবন্ধনের নামে প্রত্যােক শিক্ষকদের কাছ থেকে পঞ্চাশ হাজার করে চাঁদা দাবি করছেন তারা। এর প্রতিবাদ করায় শিক্ষকদের সাথে অশুভ ও অশালীন আচরণ করছেন বলে অভিযোগ করা হয়।
এই বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রিক্তা বেগম বলেন,আমরা সকল শিক্ষক বিনা বেতনে পাঠ্যদান করে আসছি। এর মধ্যে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক আমাদের সকল শিক্ষকদের কাছ থেকে নানা ভাবে টাকা নিয়েছেন ও অনিয়ম করেই চলেছেন। এমনকি আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ ও করছেন। আমরা সকল শিক্ষক নিরুপায় হয়ে এই অভিযোগ দিয়েছি।
অভিযোগের বিষয়ে সভাপতি আবুল নুর আহমেদ বলেন, আমরা বিভিন্ন সময় টাকা নিয়েছি বিদ্যালয়ের উন্নয়নের স্বার্থে। আর তারা যে অভিযোগ করেছেন তা সত্য নয়।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হান কবির জানান,উপজেলা প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কাছ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এই বিষয়টি খুবই গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে সঠিক তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করে দেব। তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।