কোম্পানীগঞ্জে বর্ষণ অব্যাহত থাকায় ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। গ্রামীণ কাঁচা-পাকা রাস্তাগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। উপজেলা পরিষদের মাঠে হাঁটু সমান পানি। থানা কম্পাউন্ডের ভেতরে পানি প্রবেশ করেছে। উপজেলা সদরের কয়েকটি পাকা সড়ক জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।
বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে আউশধানের বীজতলা ও শাকসবজিসহ বিভিন্ন ফসল। অনেক পুকুর ও মৎস্য খামারের মাছ ভেসে যাওয়ার খবরও পাওয়া গেছে। গবাদিপশু নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ। রাস্তাঘাট পানিতে নিমজ্জিত থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম অঘোষিতভাবে বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জহিরুল হক বলেন, উপজেলার ৪১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দা লেভেল পানি। এ কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা ক্লাসে যায়নি। পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হবে।
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ বদিউজ্জামান আহমদ বলেন, অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে বন্যার পানি ঢুকেছে। তাই শ্রেণি কার্যক্রমে ছাত্রছাত্রীরা অংশ নেয়নি।
এদিকে, গত এক সপ্তাহ ধরে ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষগুলো বিপাকে পড়েছেন।
তবে, হাওরাঞ্চলের বোরো ধান শতভাগ কাটা হয়ে যাওয়ায় কৃষকরা বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রায়হান পারভেজ রনি বলেন, হাওরাঞ্চলের শতভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে। কিছু এলাকার আউশধানের বীজতলা ডুবেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুসিকান্ত হাজং বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। বন্যাকবলিত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসন ১২ মেট্রিক টন চাউল বরাদ্দ দিয়েছে। উপজেলার ৩৪টি আশ্রয়ণ কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।