২০২২-০২-২০ ১০:১৪:১৩ / Print
চাঞ্চল্যকর পুতুল বেগম হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেছে আদালত। রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিলেট দায়রা ও জজ অতিরিক্ত ৩য় আদালত মিজানুর রহমান ভুঞা এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। বহুল আলোচিত এই মামলার রায়ে একমাত্র আসামী স্বামী ওমর ফারুক দোলন (২৭) কে যাবজ্জীবন ও একলক্ষ টাকা জরিমানার আদেশ দেন। একলক্ষ টাকা অনাদায়ে আরও ২ বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা করেছেন।
মামলার বিবরনে জানা যায়, উমর ফারুক দোলন জন্মদাতা পিতা মিঠু চন্দ সৎ পিতা হেলাল মিয়া মাতা খোদেজা বেগম (পূর্ব নাম শিপা চন্দ) জৈন্তাপুর থানার আলুবাগান শ্রীপুর এলাকার বাসিন্দা। ওমর ফারুক দোলন ২০১১ সালে নগরীর পাঠানটুলা এলাকার রফিক আহমদ এর মেয়ে পুতুল বেগম কে বিয়ে করে।৷ পুতুল বেগম নগরীর স্কলার্স হোম মেজরটিলাতে চাকুরী করতো, ওমর ফারুক দোলন ও এই প্রতিষ্টানে পিয়নের কাজ করতো। বিবাহের পরে তাদের ঘরে এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। বিবাহের দুই বছরের পর থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ সৃষ্টি হয়। ফলে পুতুল বেগম মায়ের কাছে সন্তান সহ চলে আসেন। গত ২০১৫ সালের ১৯ ই অক্টোবর পুতুল বেগম কে ফোন করে উমর ফারুক দোলন জাফলংয়ের ভ্যালি বোর্ডিং এলাকায় নিয়ে গিয়ে হত্যা করে লাশ ঘুম করে।
তখন মেয়ের খোঁজ না পেয়ে পিতা রফিক মিয়া কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেন। স্থানীয় একটি পত্রিকায় প্রকাশিত অজ্ঞাত মহিলার লাশ উদ্ধার খবর দেখে পুতুল বেগম এর পিতামাতা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে চুড়ি ও কাপড়চোপড় দেখে তাদের মেয়ে পুতুল বেগম লাশ বলে শনাক্ত করেন।
দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে এই আলোচিত মামলায় রবিবার (২০শে ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সিলেট দায়রা ও জজ অতিরিক্ত ৩য় আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান ভুইঞা ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ বছরের বিনাশ্রমে কারাদণ্ড ঘোষণা করেন। এ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বেঞ্চ সহকারী সৈয়দ আনোয়ারুল ইসলাম।
বাদী পক্ষের আইনজীবী হিসেবে মামলা পরিচালনা করেন মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম সবুজ, বিবাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এড. ময়নুল ইসলাম।
সিলেটসানডটকম/এসএ