২০২১-১১-১৮ ০৩:৫৯:৩১ / Print
গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার আলোচিত কৃষক হাসান আলী (৪৫) হত্যা মামলার আট আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া মামলার অপর আট আসামি নির্দোষ প্রমাণ হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
হত্যা মামলার দীর্ঘ ২২ বছর পর আজ বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে গাইবান্ধার সিনিয়র দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক এ রােেয়াষণা করেন।
মামলার ১৬ আসামির মধ্যে আদালতে ১৩ জন আসামি উপস্থিতিত ছিলেন।
নিহত হাসান আলী পলাশবাড়ি উপজেলার আমবাড়ি গ্রামের মমিন উদ্দিনের ছেলে। হাসান আলী পেশায় একজন কৃষক ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আট আসামি হলেন- পলাশবাড়ি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জামাত নেতা মওলানা নজরুল ইসলাম লেবু, পলাশবাড়ি উপজেলা জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শাহ জালাল সরকার তার ভাই আব্দুর রউফ, গোলাম মোস্তফা, শাহ আলম ও ভাগ্নে ফারুক মিয়া, মিজানুর রহমান ও গাওরা তালেব।
তাদের বাড়ি পলাশবাড়ি উপজেলার রামকৃষপুর, সুইগ্রাম, জামালপুর ও পীরগঞ্জের গাংদুয়ার হলদিয়া গ্রামে।
মামলার খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন- রফিকুল, মুছা, আবু বক্কর, আব্দুর রহিম, শফিকুল ইসলাম, মালেক ও লুৎফর রহমান।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালের ২২ আগস্ট পলাশবাড়ি আদর্শ ডিগ্রি কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগকে কেন্দ্র করে দণ্ডিত আসামিরা হাসান আলীকে হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন। এ ঘটনায় তার ভাই আবুল কাশেম বাদী হয়ে ২৪ আগস্ট পলাশবাড়ি থানায় ১৭ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০০০ সালের ৩১ মে ১৬ আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পলাশবাড়ি থানা পুলিশ। চলতি বছরের ৩ মার্চ এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. ফারুক আহমেদ প্রিন্স। তিনি জানান, কৃষক হাসান আলী হত্যা মামলার ৮ আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ডসহ প্রত্যেককে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন। মামলার অপর ৮ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। রায়ের সময় আদালতে ১৩ আসামি উপস্থিত ও দুই আসামি পলাতক রয়েছেন। রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্ত ৬ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। পলাতক দুই আসামিকে গ্রেফতারে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
সিলেট সান/এসএ