২০২১-০১-১১ ১৩:২৬:৩২ / Print
সিলেটে সিটি করপোরেশনের (সিসিক) নির্মাণাধীন ড্রেনে পড়ে পেটে লোহার রড ঢুকে কবি, ছড়াকার আবদুল বাসিত মোহাম্মদের (৬৫) মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।
বাসিত মোহাম্মদের মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা একটি রিট আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে সোমবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। ঘটনার তদন্ত ও বাসিত মোহাম্মদের পরিবারের অর্থনৈতিক ক্ষতি নির্ধারণ করে সিলেটের জেলা প্রশাসককে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী অনিক আর হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল (ডিএজি) তুষার কািন্ত রায়, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ফারহানা পারভীন বীথি।
সাবেক শিক্ষক নেতা বাসিত মোহাম্মদের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে গত ১১ ডিসেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে এ আবেদনটি করেন আইনজীবী গোলাম সোবহান চৌধুরী।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সিলেট শহরের আম্বরখানার হুরায়রা ম্যানশনের সামনে সিসিকের নির্মাণাধীন ড্রেনে পড়ে যান আবদুল বাসিত। এ সময় তার পেটের মধ্যে লোহার রড ঢুকে যায়। সংকটাপন্ন অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ১০ ডিসেম্বর সকালে মারা যান তিনি। বাসিত মোহাম্মদের অনুরাগী ও সচেতন মহল এ মৃত্যুর জন্য সিসিকের অপরিকল্পিত খামখেয়ালিপনা ও দায়িত্বহীনতাকে দায়ী করেন।
ডিএজি তুষার কান্তি রায় গণমাধ্যমে জানান, তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার পাশাপাশি রুল দিয়েছে হাইকোর্ট। রুলে নির্মাণ এবং উন্নয়নমূলক কাজের সময় জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত কেন করা হবে না এবং ভুক্তভোগীর পরিবারকে দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।
এলজিআরডি সচিব, সিসিকের মেয়র, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রধান প্রকৌশলী, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারসহ সাত বিবাদীকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এমআরএম