২০২৪-১০-২৯ ০৯:৫৮:৪৫ / Print
হবিগঞ্জের বাহুবলে ডাকাতি করতে গিয়ে মা-মেয়েকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৩ জনের ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়েছ। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইয়াছির আরাফাত এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার পরপরই দন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সিলেট জেলার শাহপরান থানার চৌকিদীঘি গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে আমীর হোসেন, বাহুবল উপজেলার হাজীমাদাম গ্রামের টেনু মিয়ার ছেলে আব্দুল হান্নান ও একই উপজেলার ডুবা এলাকার মহিব উল্লাহর ছেলে মনির মিয়া।
জানা যায়- ২০২১ সালের ১৮ মার্চ বুধবার দিবাগত রাতে বাহুবল উপজেলার দ্বিগাম্বর বাজারের কাছে একটি ভাড়া বাসার তৃতীয় তলায় খাওয়া দাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পড়েন কাচামাল ব্যবসায়ী সনজিত দাসের স্ত্রী অঞ্জলি দাস (৩০) ও তাঁর মেয়ে পূজা রানী দাস (৮)।
মধ্যরাতে একদল ডাকাত তাদের ঘরে প্রবেশ করে। এসময় ডাকাতদের চিনে ফেলায় মা মেয়েকে নির্মমভাবে গলা কেটে হত্যা করে স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা। সকালে নিজ ঘরে তাদের গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনার পর অঞ্জলি দাসের স্বামী সনজিত বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন।
মামলাটি দীর্ঘ তদন্তের পর বাহুবল থানার তৎকালীন ইন্সপেক্টর তদন্ত প্রজিৎ কুমার দাস ২০২২ সালের ৩১ আগস্ট উল্লেখিত ৩ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন। মামলায় ২০ স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে ৩ জনের ফাসির আদেশ দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন বিচারক।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি এডভোকেট হাবিবুর রহমান খান জানান- আদালতের রায়ে ন্যায় বিচার পেয়েছে সনজিত দাসের পরিবার। তিনি বলেন- আমরা চাই দ্রুত যেন এ রায় কার্যকর করা হয়। আর এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের কথা জানান আসামী পক্ষের আইনজীবিসহ তাদের স্বজনরা।