২০২৩-০৪-১৯ ০৫:৩৪:৫৩ / Print
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, কৃষকরা অনেক পরিশ্রম করে হাওরে ধানের চাষাবাদ করেন। কিন্তু আগাম বন্যার কারণে কৃষকদের ধান ঘরে তুলার আগেই তলিয়ে যায়।
এই বছর বন্যা আসার আগেই হাওরের ধান ঘরে উঠে যাবে। ইতিমধ্যে হাওরের ৩০ ভাগ ধান কাটা হয়েছে। ইতিমধ্যে ১ হাজার ধান কাটার মেশিন হাওরে ধান কাটছে তাই আতংকিত হওয়ার কিছু নেই।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে সুনামগঞ্জের দেখার হাওরের বোরো ধান কর্তন উৎসবে যোগ দিয়ে মন্ত্রী এই সব কথা বলেন। মন্ত্রী আরোও বলেন,আমরা আজকে ধান কাটা উৎসবে এসেছি এবং এই বছর ধানের যে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে তা থেকে কৃষকরা অনেক লাভবান হবে।
এই বছর হাওরে এসে খুব ভালো লাগছে বোরো ধানের বাম্পার ফলন দেখে। যে বছর হাওরের ধান হয় সেই বছর সারাদেশের মানুষ হাওরের এই ধান খেতে পারে। আর যে বছর হাওরের ধান তলিয়ে যায় সেই বছর সারাদেশে খাদ্যের সংকট দেখা দেয়।
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি বলেছেন,প্রকৃতির সাথে লড়াই করে হাওরে ধান ঘরে তুলা সম্ভব নয়, প্রকৃতির সাথে আমাদের মানিয়ে নিতে হবে। তবে হাওরে আর মাটির বাধ নির্মাণ করা হবে না।
বৈজ্ঞানিক ভাবে গবেষণা করে ফসলের সময়টা ১২০ দিনের জায়গায় যদি ১০০ দিন করা পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। আশা এতে আমরা সফল হবো। এমনকি আগাম বন্যা আসার আগেই হাওরের ধান ঘরে তুলতে পারবে কৃষকরা।
মন্ত্রী আরোও বলেন,জলাভূমি হাওরে আর কোন সড়ক নির্মাণ করা হবে না, উড়াল সড়ক নির্মাণ করা হবে, যেটির কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,পানি উপ-মন্ত্রী এনামুল হক শামীম, সুনামগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড.পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ,জেলা প্রশাকস দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী,
পুলিশ সুপার এহসান শাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বকত পলিন,তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল প্রমুখ।